ভ্যানচালক তোফাজ্জলকে পুড়িয়েহত্যার ঘটনায় ৫ জন গ্রেপ্তার : ভ্যান উদ্ধার

640

চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জে ভ্যানচালককে পুড়িয়ে হত্যার ঘটনায় ৫ জনকে গ্রেপ্তার করেছে শিবগঞ্জ থানা পুলিশ।
গ্রেপ্তারকৃতরা হলেন- চাঁপাইনবাবগঞ্জ সদর উপজেলার বহরম হঠাৎপাড়া গ্রামের মো. গানুর ছেলে মো. রুহুল আমিন কালু, সদর আলীর ছেলে মো. খাইরুল ইসলাম, মৃত শেরফান আলীর ছেলে মো. শাহিন আলী, রবিউল ইসলামের ছেলে মো. ফটিক আলী এবং রাজশাহীর তানোর উপজেলার বহরইল গ্রামের মো. শাহজাহান আলীর ছেলে মো. জুয়েল রানা। তবে একই ঘটনায় অপর আসামি চুলু শেখের ছেলে হারুন আলী (৩৩)কে গ্রেপ্তার করা যায়নি।
গতকাল বুধবার দুপুরে শিবগঞ্জ থানায় এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এই তথ্য তুলে ধরেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার মো. জাহাঙ্গীর আলম। তিনি বলেন- রিকশাভ্যানচালক তোফাজ্জল হকের সাথে মামলার মূল আসামি মো. রুহুল আমিন কালুর ব্যবসায়িক কারণে সু-সম্পক থাকায় গত ২৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় তোফাজ্জলকে মোবাইল ফোনে ভাড়ার জন্য ডেকে পাঠায়। পরে খাইরুল ইসলাম, শাহিন আলী ও ফটিকের সহযোগিতায় কালু ওই রাতেই ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ৪নং বাঁধের কাছে একটি ফসলি জমিতে নিয়ে গিয়ে তোফাজ্জল হককে হত্যা করে। হত্যার পর মৃতদেহ গোপন করতে পাশে থাকা সরিষার খড়ের মধ্যে মৃতদেহ রেখে আগুন লাগিয়ে পুড়িয়ে দিয়ে চার্জার রিকশাভ্যানটি নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে রুহুল আমিন কালু তার ভাইরা জুয়েলকে ভ্যানটি বিক্রির দায়িত্ব দিয়ে তার কাছে পাঠিয়ে দেয়। পরে জুয়েলের স্বীকারোক্তি অনুযায়ী নাচোল উপজেলার বহরইল এলাকা থেকে ভ্যানটি উদ্ধার করা হয়।
অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, রাতে পরিবারের লোকজন তোফাজ্জলকে না পেয়ে
খোঁজাখুঁজির একপর্যায়ে পরদিন সকালে ঘোড়াপাখিয়া ইউনিয়নের পদ্মা নদীর ৪নং বাঁধের পাশে একটি ক্ষেতে পুড়ে যাওয়া মৃতদেহ দেখে হাতের আংটির মাধ্যমে মরদেহটি নিশ্চিত করে তার ছেলে মাসুদ। পরবর্তীতে মাসুদ আলী ওই দিনই বাদী হয়ে শিবগঞ্জ থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন। মামলা দায়েরের পর পুলিশ প্রযুক্তির সহায়তায় মামলার প্রধান আসামি রুহুল আমিন কালুকে গ্রেপ্তারের পর তার স্বীকারোক্তি মোতাবেক একজন বাদে সকল আসামিকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। সেই সাথে ব্যাটারিচালিত চার্জার ভ্যানটিও উদ্ধার করা হয়েছে এবং হত্যাকা-ে ব্যবহৃত আলামত জব্দ করা হয়েছে। গ্রেপ্তারকৃতরা প্রায় ৪০ হাজার টাকা মূল্যের ব্যাটারিচালিত রিকশাভ্যানটির জন্যই হত্যাকা- ঘটনানোর পর গুম করতে মরদেহটি পুড়িয়ে ফেলে বলে মনে করেন জেলা পুলিশের এই কর্মকর্তা। তিনি আরো বলেন, এ হত্যাকা-ে জড়িত অপর পলাতক আসামিকেও দ্রুত গ্রেপ্তার করা হবে।