ভোলাহাটে নারীকে মাথা বিছিন্ন করে হত্যা মামলার রহস্য উদঘাটন,গ্রেফতার ৩

111

ভোলাহাটে শ্যামলী ওরফে কাদনি (৪২) নামে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া এক নারীকে ধারাল অস্ত্র দিয়ে পৈশাচিকভাবে মস্তক বিছিন্ন করে হত্যার রহস্য উদঘাটন করেছে পুলিশ। ধর্ষণের পর ঘটনা ধামাচাপা দিতে শ্যামলীকে এভাবে হত্যা করা করা হয় বলে প্রাথমিকভাবে নিশ্চিত হয়েছে পুলিশ।
আজ পুলিশ চাঞ্চল্যকর ও লোমহর্ষক এ হত্যাকান্ডে জড়িত থাকার দায়ে ৩ জনকে গ্রেফতার করে বিকেলে আদালতে পাঠায়। গ্রেফতারকৃতরা হলেন,ভোলাহাটের বালুটুঙ্গি গ্রামের মিয়ার উদ্দিনের ছেলে মুনসুর আলী(৪০),একই গ্রামের মৃত আমজাদ আলীর ছেলে জাক্কার(৪০) ও একই উপজেলার মুশলীভূজা গ্রামের আব্দুল করিমের ছেলে শহিদুল (৩৫)। মামলার তদন্ত কর্মকর্তা (আইও) ও ভোলাহাট থানার পরিদর্শক(তদন্ত) আনোয়ার হোসেন বলেন,আদালতে আসামী মুনসুর ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। অপর দুই আসামী জাক্কার ও শহিদুলের ৭ দিন করে রিমান্ড চাওয়া হয়েছে। উল্লেখ্য,গত ১৭’আগষ্ট সোমবার সকালে দলদলি ইউনিয়নের ঘাইবাড়ি কোনাটোলা গ্রামের নিজ বাড়ি থেকে ২ কিলোমিটার দূরে রাঙ্গামাটিয়া বিলে প্রতিদিনের মত গরুর ঘাস কাটতে যান শ্যামলী। এরপর থেকে তিনি নিখোঁজ হন। পরদিন ১৮’আগষ্ট মঙ্গলবার সকালে ওই বিলের ধানক্ষেতের ভেতর থেকে শ্যামলীর মরদেহ উদ্ধার হয়। মরদেহের বিছিন্ন মাথা পাওয়া যায় ২০ ফুট দূরে। পুলিশ জানায়,প্রায় ১৫ বছর পূর্বে বিবাহ বিচ্ছেদ হওয়া এক ছেলে ও এক মেয়ের জননী শ্যামলী পিতার বাড়িতেই থাকতেন।
ভোলাহাট থানার অফিসার ইনচার্য (ওসি) মাহবুবুর রহমান বলেন, এ ঘটনায় নিহতের মেয়ে মরদেহ উদ্ধারের দিন অজ্ঞাতনামাদের আসামী করে থানায় মামলা করেন। গোয়েন্দা পুলিশের সহায়তায় মামলার তদন্ত শুরু করে পুলিশ জানতে পারে, গ্রেফতার মুনসুর কয়েক দিন পূর্বে শ্যামলীকে ধর্ষণের চেষ্টা করে।শ্যামলী বিষয়টি জানাজানি করে। এতে মুনসুর ক্ষুদ্ধ হয়। পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পারে,স্বামী না থাকায় শ্যামলির উপর কিছু মানুষের খারাপ নজর ছিল। গ্রেফতারকৃতরা শ্যামলি নিখোঁজের দিন রাতে বিলের নিকট পিকনিক করে। পুলিশ তদন্তে আরও জানতে পারে, আসামীরা ওইদিন নির্জন বিলের ধারে একটি পেয়ারা বাগানের টংঘরে শ্যামলীকে ধর্ষণ করে বেঁেধে রাখে। পরে সন্ধ্যার দিকে শ্যামলীকে ধানক্ষেতের ভেতর নিয়ে হত্যা করে মরদেহ ফেলে রাখে।এ হত্যাকান্ডে আর কেউ জড়িত আছে কিনা সেটি তদন্ত করা হচ্ছে বলেও জানিয়েছেন ওসি মাহবুব।