ভূমধ্যসাগরের পূবাঞ্চলীয় দেশগুলোতে পঁচিশ বছরে আত্মহত্যায় দ্বিগুণ

256

নতুন এক গবেষণায় দেখা গেছে, বিগত ২৫ বছরে আত্মহত্যার সংখ্যা ১০০ ভাগ বেড়ে দ্বিগুণ হয়েছে। আত্মহত্যা, ধর্ষণ আর হত্যার কারণে মধ্যপ্রাচ্যের একটি প্রজন্ম হারিয়ে যেতে বসেছে বলে আভাস দিয়েছেন গবেষকরা। ‘ইনটেনশনাল ইনজুরিস ইন ইস্টার্ন মেডিটেরিয়ার রিজিওন ১৯৯৫-২০১৫’ শীর্ষক গবেষণাটি সম্পন্ন করেছেন বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গবেষণা কার্যক্রম গ্লোবাল বার্ডেন অব ডিজিজ স্টাডিজ-এর গবেষকরা। এর সমন্বয়ক ছিলেন ড. আলি মোকদাদ। ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল অব পাবলিক হেলথ নামের সাময়িকীতে গবেষণাটি প্রকাশিত হয়েছে আগস্টের ৩ তারিখে। গবেষণায় দেখা গেছে, গত ২৫ বছরে এই অঞ্চলে আত্মহত্যার পরিমাণ শতভাগ বেড়ে ৩০ হাজারে দাঁড়িয়েছে। অথচ বিশ্বের অন্যান্য দেশে আত্মহত্যা বৃদ্ধি পেয়েছ ১৯ শতাংশ। গবেষণার পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত ২৫ বছরে মধ্যপ্রাচ্যে সহিংসতা বেড়েছে ১৫২ শতাংশ। প্রায় ৩৫ হাজার মানুষ এমন সহিংসতার শিকার হচ্ছেন। আর সহিংসতার কারণে বৈশ্বিক মৃত্যুর্ হার বেড়েছে ১২ শতাংশ। গবেষণা দলের প্রধান ড. আলি মোকদাদ বলেন, ‘শিশু ও তরুণদের মাঝে এই সহিংসতার ঘটনাগুলো একটি হারিয়ে যাওয়া প্রজন্ম তৈরি করছে।’ সিয়াটলে ইউনিভার্সিটি অব ওয়াশিংটনের স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউটের মধ্যপ্রাচ্য বিষয়ক উদ্যোগের এই পরিচালক আরও বলেন, এই অস্থিরতা দূর না করলে মধ্যপ্রাচ্য ভেঙে পড়বে। এই অঞ্চলে হতাশা ও অস্থিরতাসহ অনেক মানসিক সমস্যায় ভুগছে তরুণ প্রজন্ম। সৌদি আরব, ইরান, পাকিস্তান, আফগানিস্তান, সোমালিয়া, সুদান, ইরাক ও ইয়েমেনসহ মোট ২২টি দেশের উপর এই গবেষণা চালানো হয়। দেশগুলোতে প্রায় ৬০ কোটি মানুষের বসবাস। এ ছাড়া দেশগুলোতে মানসিক বিশেষজ্ঞদের সংকট প্রকট। লিবিয়া, সুদান ও ইয়েমেন প্রতি ৫০ হাজার জনের জন্য একজন মানসিক ডাক্তার রয়েছেন আর ইউরোপে এই সংখ্যা ২০ জন।