ভিন্ন রকম তিশা

268

নুসরাত ইমরোজ তিশা মানেই দর্শকের কাছে অন্যরকম কিছু। বিজ্ঞাপন, টিভি নাটক ও চলচ্চিত্র সব মাধ্যমেই দর্শকের মন জয় করেছেন তিনি। ২০০৩ সাল থেকে এই গ্ল্যামারকন্যা টিভি নাটক ও বিজ্ঞাপনে ব্যস্ত হয়ে পড়েন। মোস্তফা সরয়ার ফারুকীর ‘থার্ড পারসন সিঙ্গুলার নাম্বার’ চলচ্চিত্রের মধ্য দিয়ে বড় পর্দায় তার অভিষেক হয়। প্রথম ছবিতেই বাজিমাত করেন। পরে এই অভিনেত্রীকে শাকিব খানের সঙ্গে ‘মেন্টাল’ শিরোনামের একটি বাণিজ্যিক ছবিতেও দেখা গেছে। এটিতেও তিনি দর্শকের মধ্যে বেশ সাড়া ফেলেন। তবে নিজের কাজ ও সফলতা বিষয়ে তিশার চিন্তা একেবারেই অন্যরকম।
তিশা নিজের কাজের দর্শক প্রশংসার সব কৃতিত্ব দিতে চান শুধুমাত্র নির্মাতাকে। নির্মাতাদের কারণেই তিশার আজকের এই সফলতা বলে তিনি মনে করেন। একজন নির্মাতার নিপুণ সৃষ্টির মাধ্যমে একজন শিল্পী নিজেকে পরিপূর্ণভাবে দর্শকের সামনে উপস্থাপন করতে পারেন বলেও তিনি মন্তব্য করেন। এবার ঈদে ছোট পর্দায়ও প্রশংসিত হয়েছেন এই অভিনেত্রী। ঈদে একাধিক ধারাবাহিক-একক ও টেলিছবিতে তাকে দেখা গেছে। এরমধ্যে তার অভিনীত ‘আয়েশা’ টেলিছবিটি সব শ্রেণির দর্শকের প্রশংসা কুড়ায়। ঈদে ১১ বছর পর টেলিভিশনের জন্য টেলিছবি নির্মাণ করেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী। আনিসুল হকের লেখা উপন্যাস ‘আয়েশামঙ্গল’ অবলম্বনে এটি নির্মাণ করেন তিনি। এটিতে আয়েশা চরিত্রে অভিনয় করেন তিশা। তার সঙ্গে জুটি বাঁধেন অভিনেতা চঞ্চল চৌধুরী। আয়েশা সম্পর্কে তিশা বলেন, আয়েশার জন্য মানুষের এত ভালোবাসা পাবো ভাবিনি। এটি প্রচারের পর থেকে সবার প্রশংসা পাচ্ছি। এখনো অনেকে এটির জন্য আমাকে বলছেন। আয়েশা ছাড়াও তিশাকে ঈদে দেখা গেছে সাগর জাহানের ‘মাখন মিয়ার শিক্ষিত বউটা’ ও ‘মাহিনের রূপবান বিয়ে’, মাবরুর রশিদ বান্নাহর ‘একটু হাসো’, মাসুদ সেজানের ‘চরিত্র : স্ত্রী’, আবু হায়াত মাহমুদের ‘বৃত্ত’সহ বেশ কিছু নাটকে। ছোট পর্দায় এই অভিনেত্রী এখন শুধু বিশেষ দিবসেই অভিনয় করেন। ছোট পর্দার বাইরে তার ব্যস্ততা চলচ্চিত্র নিয়ে। সম্প্রতি তিনি তৌকীর আহমেদের ‘ফাগুন হাওয়া’ ছবির কাজ শেষ করেছেন। ভাষা আন্দোলনের প্রেক্ষাপটে এই ছবিটি নির্মিত হয়েছে। এর আগে তৌকীর আহমেদের ‘হালদা’ চলচ্চিত্রে তিশা অভিনয় করেন। এ ছাড়া তার হাতে আরো রয়েছে ‘শনিবার বিকেল’ শিরোনামের আরো একটি ছবি। এটি নির্মাণ করছেন মোস্তফা সরয়ার ফারুকী।