ভারত ও পাকিস্তানকে ‘একসঙ্গে নৈশভোজের’ আহ্বান ট্রাম্পের
উত্তেজনা পরিস্থিতি এড়াতে ভারত ও পাকিস্তানকে ‘একসঙ্গে নৈশভোজের’ আহ্বান জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। গতকাল সৌদি আরবের রিয়াদে অনুষ্ঠিত মার্কিন-সৌদি বিনিয়োগ ফোরামে ভাষণ দিতে গিয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় তার হস্তক্ষেপে ভারত-পাকিস্তান সংঘাত বন্ধ হয়েছে বলে ফের দাবি করেন ট্রাম্প। তিনি বলেন, ‘কয়েকদিন আগে আমরা একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছেছি। ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সংঘর্ষে লাখ লাখ মানুষের মৃত্যু হতে পারত এবং এই সংঘাত দিন দিন আরও ৃবড় হয়ে উঠছিল।ভারত-পাকিস্তান সংঘর্ষ বিরতির পেছনে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও এবং ভাইস প্রেসিডেন্ট জেডি ভ্যান্সের ভূমিকারও ভূয়সী প্রশংসা করেন ট্রাম্প। বলেন, ‘জেডি ভ্যান্স এবং সেক্রেটারি রুবিওর অংশগ্রহণে মার্কিন নেতৃত্বাধীন শান্তি আলোচনার পর নয়াদিল্লি এবং ইসলামাবাদ ঐক্যবদ্ধ হচ্ছে। আসুন আমরা পারমাণবিক ক্ষেপণাস্ত্রের ব্যবসা না করে, যে যেসব ভালো পণ্য আপনারা তৈরি করেন সেগুলোর ব্যবসা করি। হয়তো (এর মাধ্যমে) আমরা দুই দেশকে ঐক্যবদ্ধ করতে পারি। ’
পাকিস্তান ও ভারতে দুই দেশেই খুব ভালো, শক্তিশালী ও বুদ্ধিমান নেতা রয়েছে বলে মন্তব্য করেন ট্রাম্প। যদিও ট্রাম্পের এই দাবি প্রত্যাখ্যান করে ভারতীয় পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে জানিয়েছে, ভারত ও পাকিস্তানের ডিজিএমওদের মধ্যে আলোচনার পরই যুদ্ধবিরতির সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়।
গত সোমবার ডোনাল্ড ট্রাম্প দাবি করেছিলেন, যুদ্ধবিরতিতে মধ্যস্থতা করতে তিনি ভারত ও পাকিস্তান দুই দেশকেই বাণিজ্য বন্ধ করে দেওয়ার হুমকি দিয়েছিলেন। তিনি আরও বলেছিলেন,‘কয়েকদিন আগে, আমার প্রশাসন ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান সহিংসতা বন্ধে একটি ঐতিহাসিক যুদ্ধবিরতি সফলভাবে সম্পন্ন করেছে এবং আমি এটি করার জন্য বাণিজ্যকে অনেকাংশে ব্যবহার করেছি। আমি বলেছিলাম, বন্ধুরা, আসুন। আসুন একটি চুক্তি করি। আসুন কিছু বাণিজ্য করি। ’
ট্রাম্পের এই দাবিও প্রত্যাখ্যান করেছে ভারত সরকার।
দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘মার্কিন সচিব রুবিয়ো ৮ ও ১০ মে আমাদের পররাষ্ট্রমন্ত্রী জয়শঙ্করের সঙ্গে এবং ১০ মে জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত দোভালের সঙ্গে কথা বলেছেন। কোনো আলোচনাতেই বাণিজ্য বিষয়ক কোনো কথা উল্লেখ ছিল না। ’
প্রসঙ্গত, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় আসার পর এই প্রথম সৌদি আরবে গেলেন। মঙ্গলবার তাকে বিমানবন্দরে স্বাগত জানান সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান। মধ্যপ্রাচ্য সফরে প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প কাতার ও সংযুক্ত আরব আমিরাতেও যাবেন। এই সফরে তিনি যুক্তরাষ্ট্রের জন্য বড় বিনিয়োগ টানতে চাইছেন। ট্রাম্পের সঙ্গে সফরে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী মার্কো রুবিও ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পিট হেগসেথও রয়েছেন।