বিবিসি লিখেছে, ক্ষমতাসীন বিজেপি ও তাদের শরিক দলগুলোর বিধায়ক সংখ্যা ধরে হিসাব করলে ৭১ বছর বয়সী রামনাথ কোভিন্দের জয় অনেকটাই নিশ্চিত।
তাছাড়া জনতা দল ইউনাইটেড, বিজু জনতা দল, এআইএডিএমকে ও তেলেঙ্গানা রাষ্ট্রীয় সমিতির মত আঞ্চলিক দলগুলো এনডিএর প্রার্থীকে সমর্থন দেওয়ায় বিরোধী শিবির বড় ধাক্কা খেয়েছে। পেশায় আইনজীবী রামনাথ কোভিন্দ বিহারের গভর্নর হওয়ার আগে দুইবার রাজ্যসভার সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন।
আর তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী ৭২ বছর বয়সী মীরা কুমার ২০০৯ সালে লোকসভার স্পিকার হওয়ার আগে পাঁচবার লোকসভার সদস্য ছিলেন।
ভারতের ইতিহাসে কেবল প্রথম রাষ্ট্রপতি বাবু রাজেন্দ্র প্রসাদ দুই মেয়াদে ওই পদে থাকার সুযোগ পেয়েছেন। কংগ্রেসের সময়ে রাষ্ট্রপতি হওয়া প্রণব মুখোপাধ্যায়কে ফের রাষ্ট্রপতি করার প্রস্তাব কোনো কোনো দল দিলেও ক্ষমতাসীনরা তা মানেনি।
হিন্দুত্ববাদীদের সমর্থনে ভারতের রাষ্ট্রক্ষমতায় আসা বিজেপি এই প্রথম নিজেদের আদর্শের কাউকে রাষ্ট্রপতি করার সুযোগ পেয়েছে। সে বিষয়টি ইঙ্গিত করেই কংগ্রেস নেত্রী সোনিয়া গান্ধী গত রোববার বলেন, এ নির্বাচন পরিণত হয়েছে আদর্শের লড়াইয়ে। সংকীর্ণ ধর্মীয় মূল্যবোধের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের অংশ হিসেবেই বিরোধী জোট এ ভোটে প্রার্থী দিয়েছে। লোকসভার ৫৪৩ জন, রাজ্যসভার ২৩৩ জন সদস্য এবং ভারতের ২৯ রাজ্য ও কেন্দ্রশাসিত দিল্লি ও পদুচেরির মোট চার হাজার ১২০ জন বিধায়কের ভোটে নির্বাচিত হবেন ভারতের রাষ্ট্রপতি। তবে ভোট গণনা পদ্ধতি সাধারণ নির্বাচনের মত সরল নয়।
সাধারণ নির্বাচনে প্রতিটি ভোটের মান সমান হলেও রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে ভোটের মান নির্ভর করে ভোটারের ওপর।
ভোটার যদি লোকসভা ও রাজ্যসভার সদস্য হন, তাহলে তার ভোটের মান ৭০৮। আবার বিধানসভার সদস্যদের ভোটের মান নির্ধারিত হয় ওই বিধানসভার মোট আসন ও জনসংখ্যার আনুপাতিক হারে।
এই বিচারে উত্তর প্রদেশের বিধায়কদের ভোটের মান সবচেয়ে বেশি, ২০৮। আর সিকিম ও অরুণাচলের বিধায়কদের ভোটের মান সবচেয়ে কম, মাত্র ৮।