ভারতীয় হরিণ পথ ভুলে বাঙ্গাবাড়ী সীমান্ত এলাকায়

86

বেশ কয়েকদিন থেকে ভারতীয় একটি হরিণ চাঁপাইনবাবগঞ্জের গোমস্তাপুর উপজেলার বাঙ্গাবাড়ী সীমান্ত এলাকার গ্রামগুলোতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। কেউ বলছে পথ ভুল করে এসেছে, কেউ বলছে খাবারের খোঁজে সীমান্ত অতিক্রম করে বাংলাদেশ অভ্যন্তরে প্রবেশ করেছে।
তবে বড় আকৃতির হরিণটি দেখতে উৎসুক জনতা ভিড় জমাচ্ছে ওই এলাকায়। অনেকে ধরার চেষ্টা করলে সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন স্থানে পৌঁছে যাচ্ছে হরিণটি। এদিকে বন বিভাগের কর্মকর্তারা বলছে হরিণটি ভারতীয় পোষা (পালিত)।
স্থানীয়রা জানান, বেশ কয়েকদিন থেকে সীমান্তের কাঁটাতার সংলগ্ন ভারতীয় অভ্যন্তরে একটি হরিণ দেখতে পাওয়া যাচ্ছিল। সোমবার সকাল থেকে সেই হরিণ বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী গ্রাম ভবানীপুর, শিবরামপুর, আনারপুর এলাকায় ধানের জমিসহ আশপাশে ঘুরে বেড়াতে দেখা গেছে। হরিণটি দেখতে এলাকার লোকজন ছুটে যাচ্ছে। কেউ কাছে গেলে পালিয়ে যাচ্ছে।
ওই এলাকার বাসিন্দা মনিরুল ইসলাম বলেন, ভারতীয় একটি হরিণ আমাদের এলাকায় ঘুরাফেরা করছে। সকালে তিনি হরিণকে তার গ্রাম সংলগ্ন এলাকায় দেখেছেন। মাঠের জমিতে চরে বেড়াচ্ছে, কারো ক্ষতি করছে না। কেউ এগিয়ে গেলে পালিয়ে যাচ্ছে।
বন্যপ্রাণী নিয়ে কাজ করা ওই এলাকার প্রধান শিক্ষক মাসারুল হক জিকেন বলেন, অনেকে হরিণটিকে ধরার চেষ্টা করবে। তবে মাইকিং করে সতর্ক করা উচিত বলে তিনি মনে করেন।
বাঙ্গাবাড়ী ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম ও ওই এলাকার সংরক্ষিত নারী সদস্য জুলেখা বেগম বলেন, (সোমবার) হরিণটি দেখা গেছে।
গোমস্তাপুর উপজেলা বন বিভাগে অতিরিক্ত দায়িত্বে থাকা কর্মকর্তা সেরাজুল ইসলাম বলেন, উপজেলা নির্বাহী অফিসার স্যার মোবাইল ফোনে বিষয়টি বলেছেন। পরে তিনি রাজশাহীস্থ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তাদের জানিয়েছেন।
রাজশাহী বন বিভাগের বন্যপ্রাণী পরিদর্শক জাহাঙ্গীর কবীর জানান, তিনি বগুড়াতে অবস্থান করছেন। তাই ওই এলাকায় যেতে পারছেন না। তবে হরিণটিকে বিরক্ত করতে নিষেধ করেন তিনি। তিনি বলেন, খাবারের সন্ধানে বা পথ ভুল করে সীমান্ত অতিক্রম করে চলে আসতে পারে হরিণটি। তবে তিনি জানান হরিণটি ভারতীয় পোষা (পালিত) কারো হতে পারে।
গোমস্তাপুর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) আসমা খাতুন বলেন, বন বিভাগের কর্মকর্তাদের অবহিত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।