ভারতীয়দের গণপিটুনিতে বাংলাদেশি যুবক নি*হত, আ*হত ৫
অবৈধভাবে ভারতে অনুপ্রবেশে পর আকরাম হোসেন নামে এক বাংলাদেশি যুবককে গণপিটুনিতে হত্যার অভিযোগ উঠেছে। এতে আরও অন্তত পাঁচজন আহতের খবর পাওয়া গেছে। আজ সকালে ঘটনাটি জানাজানি হয়। এর আগে ভারতের মেঘালয় রাজ্যের খাসি হিলস জেলার কৈথাকোণা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে। নিহত যুবক আকরাম হোসেন শেরপুরের ঝিনাইগাতী উপজেলার কাংশা ইউনিয়নের বাঁকাকুড়া গ্রামের মৃত জহির উদ্দিনের ছেলে। বাঁকাকুড়া এলাকার ইউপি সদস্য মোছা সরদার ও গ্রামের বাসিন্দাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, আকরাম দীর্ঘদিন ধরে বরিশালে থাকতেন। সোমবার বিকেলে আকরামসহ কয়েকজন মিলে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করে। পরে ভারতের অভ্যন্তরে গণপিটুনিতে তার মৃত্যুর খবর পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় এলাকায় চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়েছে। ঘটনাটি জানাজনি হলে বিজিবির পক্ষ থেকে বিষয়টি নিয়ে বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়েছে।
তবে এ বিষয়টি নিয়ে বিজিবির পক্ষ থেকে এখনো আনুষ্ঠানিক বক্তব্য পাওয়া যায়নি। বিজিবির নৌকুচি সীমান্ত ফাঁড়ি সূত্রে জানা গেছে, বিষয়টি জানার পর বিএসএফের সঙ্গে যোগাযোগ করা হয়। এসময় বিএসএফের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে, ভারতের রোংদাংগাই গ্রামের এক বাসিন্দাকে অপহরণ ও ছিনতাইয়ে চেষ্টা করে কয়েকজন যুবক। পরে ওই গ্রামের বাসিন্দারা তাদের গণপিটুনি দেয়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আকরাম হোসেনের মৃত্যু হয়। আহতদের মধ্যে ৩ জনকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ভারতের আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। বাকি দুজন এখনও চিকিৎসাধীন। ঝিনাইগাতী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আল আমীন বলেন, ভারতীয়দের গণপিটুনিতে বাংলাদেশি এক যুবকের মৃত্যুর খবর শুনেছি। আকরাম হোসেনের বিরুদ্ধে থানায় অপহরণ মামলার একটি গ্রেপ্তারি পরোয়ানা আছে। বিস্তারিত পরে জানানো সম্ভব হবে।