লুতুপুতু প্রেম আর ‘বাবু-সোনা’ সংলাপে যখন সমালোচিত জুটি হিসেবে পরিণত হতে চলেছেন নিশো-মেহজাবীন তখন ভিন্ন আমেজে হাজির হলেন তারা। ঈদের নাটক ‘ভাইয়া’-তে তাদের দেখা গেল সামাজিক দায়বদ্ধতার এক গল্পে। গৎবাঁধা গল্প, হাস্যকর সংলাপ আর মানহীন অভিনয়ের বিপরীতে এসে দর্শকদের অন্য অন্য ধাঁচের গল্প উপহার দিয়েছে এ নাটকটি। সাজ্জাদ সুমনের পরিচালনায় নাটকটি গেল ঈদ উপলক্ষে একটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের ইউটিউব চ্যানেলে প্রকাশ হয়। অল্প সময়েই নাটকটি দর্শকের কাছ থেকে ব্যাপক সাড়া পেয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমসহ বিভিন্ন মাধ্যমেও প্রশংসা পাচ্ছে ‘ভাইয়া’। দর্শকরা সমাজের প্রতিচ্ছবি খুঁজে পেয়েছেন এই নাটকে। পরিচালক সুমন তার নাটকটি নিয়ে বলেন, ‘এটি এই সামজেরই গল্প। খুব সহজ সরলভাবে উপস্থাপন করা হয়েছে জীবন বাস্তবতা। এর মাধ্যমে সমাজে ইভটিজিংয়ের বিরুদ্ধে শক্ত হয়ে দাঁড়ানোর একটা ম্যাসেজ পাচ্ছে মানুষ। মানসিক শক্তিটা সঞ্চয় করার একটা অনুপ্রেরণাও এই গল্প।’ গল্পের বর্ণনায় দেখা যায়, শুরুতে এক পরিবারে ভাই-বোনের মধ্যে একটি মধুর সম্পর্ক। কীভাবে বোনকে একজন ভাই আগলে রাখেন, পড়াশোনা করান সেসব প্রসঙ্গও উঠে এসেছে এতে। তবে হঠাৎ এর মাঝে বাঁধ সাধে ইভটিজিং নামক সামাজিক ব্যাধি। সমাজে ইভটিজিংয়ের শিকার মেয়টিকে দোষারোপ করা হয়। সাধারণত কেউ পাশে দাঁড়াতে চায় না তার। তবে ‘ভাইয়া’তে ভাই প্রথমে ভুল বুঝলেও ভুল ভাঙতে দেরি হয় না তার। বোনের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে জীবনটাই দিতে হয় বেচারা ভাইকে। ‘ভাইয়া’ নাটকে ভাইবোন চরিত্রে অভিনয় করেছেন আফরান নিশো ও মেহজাবীন চৌধুরী। এতে আরও অভিনয় করেছেন নিকুল কুমার মন্ডল, তুতিয়া রহমান পাপিয়া প্রমুখ।