বড় রান আসছে টেইলর-মাসাকাদজার : জিম্বাবুয়ে কোচ

118

সামর্থ্য সীমিত। আত্মবিশ্বাস তলানিতে। জয়ের স্বাদ ভুলে যাওয়ার মতো অবস্থা। এমন দুঃসময়ে কিভাবে ঘরে দাঁড়াতে পারে দল? লালচাঁন রাজপুত তাকিয়ে অভিজ্ঞদের ব্যাটে। হ্যামিল্টন মাসাকাদজা, ব্রেন্ডন টেইলরদের ব্যাট জ¦লে উঠলে ঘুরে যাবে দলের ভাগ্য, বিশ্বাস জিম্বাবুয়ে কোচের।
বাংলাদেশে ওয়ানডে সিরিজের আগে প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিলেন মাসাকাদজা। কিন্তু জিম্বাবুয়ে অধিনায়ক দলের ভার বইতে পারেননি সিরিজের প্রথম ম্যাচে। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে তিন ওয়ানডে ও দুই টি-টোয়েন্টিতে পার হতে পারেননি ৩০ রানও। এই দফায় নেতৃত্ব পাওয়ার পর ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টি মিলিয়ে ১৫ ম্যাচে ফিফটি করেছেন একটি।
অবস্থা খুব একটা ভালো নয় দলের বড় ভরসা টেইলরের। বাংলাদেশ সফরে প্রস্তুতি ম্যাচ ও প্রথম ওয়ানডেতে করেছেন যথাক্রমে ৬ ও ৫ রান। দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে ৩ ওয়ানডে ও ২ টি-টোয়েন্টিতে সর্বোচ্চ ছিল ৪০।
বুধবার বাংলাদেশের বিপক্ষে দ্বিতীয় ওয়ানডেতে হারলে সিরিজও হারবে জিম্বাবুয়ে। তবে এখনই সিরিজের ফয়সালা চান না রাজপুত। মঙ্গলবার চট্টগ্রাম জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুশীলনের আগে সংবাদমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে জানালেন, অভিজ্ঞদের ব্যাটে বড় রান এই এল বলে।
“সিনিয়র ক্রিকেটারদের দায়িত্ব নিতে হবে। মাসাকাদজা প্রস্তুতি ম্যাচে সেঞ্চুরি করেছিল। আশা করি মূল সিরিজেও সেটি বয়ে আনতে পারবে। ব্রেন্ডন টেইলর শুরুটা ভালো করছে, শেষ করতে পারছে না। আশা করি ওর বড় স্কোর আসবে।”
“আমি নিশ্চিত, ওরাও বড় স্কোরের প্রয়োজনীয়তা বুঝতে পারছে। বড় রান আসছে। নিশ্চিতভাবেই বলতে পারি, শিগগিরই আসছে।”
গত মার্চে দেশের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইপর্বে আয়ারল্যান্ডকে হারানোর পর তিন সংস্করণ মিলিয়ে টানা ১৭ ম্যাচ হেরেছে জিম্বাবুয়ে। ক্রমাগত হারতে থাকা একটি দলকে অনুপ্রাণিত করা কঠিন। তবে এই সময়ে বেশ কবারই জয়ের সম্ভাবনা জাগিয়েছে জিম্বাবুয়ে। কোচের আশা, এবারও তেমন কিছু করে শেষ পর্যন্ত জয় খরাও কাটাবে দল।
“অনেক দিনই আমরা জিতি না। তবে সত্যি বলতে, প্রথম ৮ ম্যাচে আমরা সিনিয়র ক্রিকেটারদের পাইনি। এখন সিনিয়ররা ফিরেছে, আমরা জয়ের কাছে যাচ্ছি। শুধু শেষটা করতে পারছি না। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১০০ রানে ৭ উইকেট নিয়েও পারিনি। এমনকি টি-টোয়েন্টিতেও সম্ভাবনা জাগিয়ে পারিনি। খ্বু শিগগিরই আমরা শেষ বাধাটুকু টপকে যেতে পারব।”