হামলার পর ব্রিটিশ সরকারের সংকট প্রতিহত কমিটির এক জরুরি বৈঠকের নেতৃত্ব দেন মে। বৈঠক শেষে টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক বিবৃতিতে তিনি বলেন, ‘ম্যানচেস্টারের ঘটনায় চলমান তদন্তের ভিত্তিতে আমরা বুঝেছি, ব্রিটেনে এখন হামলার আশঙ্কা শুধু তীব্র নয়, সংকটপূর্ণ অবস্থায় পৌঁছেছে।’
প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে বলেন, গত মঙ্গলবার নিরাপত্তা বাহিনীর সারাদিনের পর্যবেক্ষণ অনুযায়ী এ ধরনের হামলা চালানোর জন্য আরও বহু সন্ত্রাসী প্রস্তুতি নিয়েছে। তারা প্রত্যেকে এককভাবে আলাদা আলাদা জায়গায় হামলার চেষ্টা করবে। মে দাবি করেন সাধারণ মানুষকে শুধু শুধু আতঙ্কিত করার ইচ্ছে তার সরকারের নেই।
ম্যানচেস্টারের সন্দেহভাজন আত্মঘাতী হামলাকারী সালমান আবেদির বাবা-মা ছিলেন লিবীয় শরণার্থী। সাবেক একনায়ক মুয়াম্মার গাদ্দাফির রোষানল থেকে বাঁচতে লিবিয়া ছেড়ে পরিবারকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে আসেন সালমানের বাবা রামাদান। ডেইলি মেইলের অপর এক অনুসন্ধানী প্রতিবেদনে এসব দাবি করা হয়। সংবাদমাধ্যম মিরর সালমানের বন্ধু-প্রতিবেশিদের সূত্রে জানাচ্ছে, ব্রিটেনে জন্ম নেওয়া সালমান কৈশোরে ছিলেন এক ফুটবল-উন্মাদ তরুণ। ভিডিও গেমেও আসক্তি ছিল তার। ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী এক বিবৃতিতে বলেছেন, হামলাকারীর পরিচয় শনাক্তের ব্যাপারে যুক্তরাজ্যের পুলিশ এখনও আশাবাদী। কারও কাছে ওই হামলার ফুটেজ থাকলে আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সরবরাহ করতে আহ্বান জানানো হয়েছে। ম্যানচেস্টারে জোড়া বিস্ফোরণের দায় স্বীকার করেছে আইএস। জিহাদি কার্যক্রম পর্যবেক্ষণকারী মুনাফাভিত্তিক ওয়েবসাইট সাইট ইন্টিলিজেন্স জঙ্গিদের দায় স্বীকারের খবর জানিয়েছে। তবে আইএসের পক্ষ থেকে দায় স্বীকার করা হলেও হামলায় জঙ্গিদের সংশ্লিষ্টতার ব্যাপারে এখনও নিশ্চিত নয় ব্রিটিশ পুলিশ।