ব্রাজিলের পাতোর বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন

175

জাতীয় দলের হয়ে শেষ খেলেছেন চার বছরেরও আগে। পাড়ি জমিয়েছেন তুলনামূলক কম প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ চাইনিজ সুপার লিগে। তবে আশা হারাননি ব্রাজিলের আলেসান্দ্রে পাতো। দেখেন বিশ্বকাপে খেলার স্বপ্ন। আর সে লক্ষ্যে কোচ তিতের নজর কাড়তে মরিয়া এই স্ট্রাইকার।
২০১৩ সালের অক্টোবরের পর থেকে জাতীয় দলের হয়ে খেলেননি পাতো। তবে আগামি জুন-জুলাইয়ে হতে হওয়া রাশিয়া বিশ্বকাপের দলে ডাক পেতে জোর চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন ২৮ বছর বয়সী এই খেলোয়াড়।
চাইনিজ সুপার লিগের গত আসরে তৃতীয় হওয়া তিয়ানচি কুয়ানচিয়ানের হয়ে দারুণ খেলেন পাতো। ২৪ ম্যাচে করেন ১৫ গোল। দারুণ এই পারফরম্যান্সে ব্রাজিলের কোচের নজর কাড়তে পারবেন বলে আশাবাদী আক্রমণভাগের এই খেলোয়াড়।
“ব্রাজিলিয়ান (জাতীয় দল) দলে জায়গা পাওয়ার ভাবনাতেই আমি সারা বছর পরিশ্রম করেছি।ৃআমি সবসময় ব্রাজিল দলে ফিরতে চেষ্টা করেছি এবং আমার মতে, আমি দারুণ একটি চ্যাম্পিয়ন্সশিপ খেলেছি। দলকে অন্য একপর্যায়ে আনতে আমি সহযোগিতা করেছি, যা সবার প্রত্যাশার বাইরে।”
চীনের ক্লাবের হয়ে খেললেও সেন্টারব্যাক জিল, ফরোয়ার্ড দিয়েগো তারদেল্লি ও রেনাতো আউগুস্তো একেবারে তিতের পরিকল্পনার বাইরে চলে যাননি। আর ৩০ বছর বয়সী পাওলিনিয়ো তো বার্সেলোনায় যোগ দিয়ে দারুণ খেলে চলেছেন। ব্রাজিল দলে ফেরার প্রত্যাশায় এই নামগুলোই আত্মবিশ্বাস যোগাচ্ছে পাতোকে।
“আমি অসাধারণ একটি বছর কাটিয়েছি। আমি মনে করি, সুযোগ আসবে। যেমনটা জিল, তারদেল্লি, রেনাতোর এসেছে। চীনে থাকার সময় পাওলিনিয়োও সুযোগ পেয়েছেন। এখন সে বার্সেলোনায় চলে গেছে।”
“আমি মনে করি, এখনও বিশ্বকাপের অনেক সময় বাকি। আমাকে পরিশ্রম করতে হবে এবং চীনে আমার কাজের প্রতি মনোযোগ ধরে রাখতে হবে। আর এই সুযোগ পেলে আমি খুবই খুশি হবো। ব্রাজিলিয়ান দলে ফিরতে আমি শতভাগ পরিশ্রম করবো। আমি মনে করি, এটাই আমার নজর দেওয়ার জায়গা।”