ব্যাটসম্যানকে রান আউট না করে হৃদয় জিতলেন নেপালি উইকেটকিপার

60

নিজ দল, প্রতিপক্ষ, আম্পায়ার ও খেলাটার প্রথাগত মূল্যবোধের প্রতি সম্মান দেখানোকে ‘স্পিরিট অব ক্রিকেটের’ মূল ভিত্তি মনে করা হয়। ওমানে চলমান চারজাতির টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে এই ক্রিকেটীয় চেতনা থেকে সরে আসেননি নেপালের উইকেটকিপার আসিফ শেইখ। সোমবার আল আমিরাত ক্রিকেট গ্রাউন্ডে সুযোগ পেয়েও আইরিশ ব্যাটসম্যানকে রান আউট না করে হৃদয় জিতলেন তিনি।

ঘটনা ১৯তম ওভারের, যখন অ্যান্ডি ম্যাকব্রিনকে রান আউট করার সুযোগ পেয়েও করেননি আসিফ। নন স্ট্রাইকে থাকা ম্যাকব্রিন সিঙ্গেল নিতে চেষ্টা করেন, কিন্তু অর্ধেক ক্রিজ পার হতেই দুর্ঘটনাবশত হোঁচট খেয়ে পড়ে যান। উঠে দাঁড়িয়ে তিনি ব্যাটিং প্রান্তে দিকে ছুটতে থাকেন, ততক্ষণে বোলার আইরি বল কুড়িয়ে পাঠান আসিফের কাছে। ব্যাটিং প্রান্তে পৌঁছানোর আগেই উইকেটকিপারের হাতে বল দেখে হাল ছেড়ে দেন ম্যাকব্রিন, কিন্তু তাকে অবাক করে দেন আসিফ।

শুধু ম্যাকব্রিন কেন, ধারাভাষ্যকাররাও শিহরিত হয়েছেন। তাদের একজনকে বলতে শোনা যায়, ‘ধারাভাষ্যকক্ষে বসে আমি, আমার লোম দাঁড়িয়ে গেছে। কারণ এটা একটা মর্মস্পর্শী মুহূর্ত। এটা ছিল আকস্মিক এবং সে রান আউট করতে পারত। কিন্তু আসিফ শেইখ ক্রিকেটীয় চেতনার কারণে তাকে আউট করল না। আইসিসির ২০২২ স্পিরিট অব ক্রিকেট অ্যাওয়ার্ডের জন্য মনোনীত করা হোক।’

আসিফের এই পদক্ষেপ ‘স্পিরিট অব ক্রিকেটের’ জন্য মনোনীত হলে অবাক হওয়ার কিছু নেই। গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে সেমিফাইনালে গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে সুযোগ পেয়েও এক রান না নেওয়ায় নিউ জিল্যান্ডের ড্যারিল মিচেল সবশেষ পুরস্কারটি জিতেছিলেন।

আয়ারল্যান্ড ম্যাচটি জিতে গিয়েছে ১৬ রানে। আগে ব্যাট করে ২০ ওভারে তারা করে ১২৭ রান। নেপালের দীপেন্দ্র সিং সর্বোচ্চ চার উইকেট নেন ২১ রান দিয়ে।

জবাবে নেপাল ১১১ রানে অলআউট হয়। ম্যাকব্রিন, সিমি সিং, মার্ক অ্যাডাইর ও ব্যারি ম্যাকক্যার্থি দুটি করে উইকেট নেন। এই টি-টোয়েন্টি সিরিজে আয়ারল্যান্ড ও নেপাল ছাড়াও স্বাগতিক ওমান ও সংযুক্ত আরব আমিরাত খেলছে।