ব্যক্তিগত কারণে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টেস্ট থেকে নাম প্রত্যাহার করে নিয়েছেন জসপ্রীত বুমরাহ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড (বিসিসিআই)। বুমরাহর পরিবর্তে নতুন কাউকে স্কোয়াডে নেবে না ভারত। ২৭ বছর বয়সী পেসার আহমেদাবাদে দিবারাত্রির টেস্ট দিয়ে একাদশে ফিরেছিলেন। তবে সিরিজের তৃতীয় টেস্টে তাকে বল করতে হয়েছে মাত্র ৬ ওভার। দ্বিতীয়দিনেই স্পিন স্বর্গ হয়ে ওঠা পিচে দ্বিতীয় ইনিংসে আর রান-আপ করতে হয়নি বুমরাহকে। শেষ টেস্টে না থাকায় এখানেই শেষ হয়ে গেলো তার সিরিজ। দুই টেস্টে বল হাতে ৪৮ রান দিয়ে ৪ উইকেট নিয়েছেন তিনি। প্রথম টেস্ট খেললেও চেন্নাইয়ে দ্বিতীয় টেস্টে বিশ্রামে ছিলেন বুমরাহ। তার পরিবর্তে দ্বিতীয় টেস্টে জায়গা পান মোহাম্মদ সিরাজ। ৪ টেস্ট সিরিজে ২-১ ব্যবধানে এগিয়ে আছে ভারত। চতুর্থ টেস্ট বা শেষ টেস্টে হার এড়াতে পারলেই নিউজিল্যান্ডের পর টেস্ট চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে যাবে বিরাট কোহলিদের। ভারতের চতুর্থ টেস্ট স্কোয়াড: বিরাট কোহলি (অধিনায়ক), রোহিত শর্মা, মায়াঙ্ক আগারওয়াল, শুভমান গিল, চেতশ্বর পুজারা, আজিঙ্কা রাহানে (সহ-অধিনায়ক), লোকেশ রাহুল, হার্দিক পান্ডিয়া, ঋষভ পন্ত (উইকেটররক্ষক), ঋদ্ধিমান সাহা (উইকেটরক্ষক), রবিচন্দ্রন অশ্বিন, কুলদীপ যাদব, অক্ষর প্যাটেল, ওয়াশিংটন সুন্দর, ইশান্ত শর্মা, মোহাম্মদ সিরাজ, উমেশ যাদব।

66

একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে (ওডিআই) সর্বোচ্চ সেঞ্চুরিয়ান হিসেবে শীর্ষ পাঁচে জায়গা করে নিয়েছেন বাংলাদেশের তামিম ইকবাল ও লিটন দাস। দু’টি করে সেঞ্চুরি নিয়ে তালিকায় যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে আছেন এই দুই ব্যাটসম্যান। আর তিন সেঞ্চুরি নিয়ে শীর্ষে অস্ট্রেলিয়ার স্টিভ স্মিথ।

শুক্রবার (১ জানুয়ারি) ২০২০ সালে ওডিআইতে শীর্ষ পাঁচ সেঞ্চুরিয়ানের নাম প্রকাশ করে ক্রিকেটের সর্বোচ নিয়ন্ত্রক সংস্থা আইসিসি। এতে দেখা যায়, তিনটি সেঞ্চুরি পাওয়া স্টিভ স্মিথ আছেন সবার শীর্ষে।

তালিকার দ্বিতীয় অবস্থানে আছেন বাংলাদেশের ওডিআই অধিনায়ক ও ওপেনার তামিম ইকবাল। তৃতীয় অবস্থানে রয়েছেন আরেক টাইগার ওপেনার লিটন দাস। প্রত্যেকেই দু’টি করে সেঞ্চুরি হাঁকিয়েছেন।

তালিকার চতুর্থ ও পঞ্চম অবস্থানে থাকা ব্যাটসম্যানেরাও দু’টি করে সেঞ্চুরি পেয়েছেন এবছর। তারা হলেন- যথাক্রমে ওমানের আকিব ইলিয়াস এবং আরেক অস্ট্রেলিয়ান অ্যারন ফিঞ্চ।

করোনার এই বছরে গেলো মার্চের পর আর কোনো ওডিআই ম্যাচ খেলেনি টাইগাররা। সে মাসে জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে তিন ম্যাচের হোম সিরিজ খেলে বাংলাদেশ। সেই সিরিজেই দু’টি করে সেঞ্চুরি করেন তামিম ও লিটন দাস।

এর মধ্যে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ১৩৬ বলে ১৫৮ করেন তামিম। এটি ওডিআইতে এক ম্যাচে কোনো বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর। একই সঙ্গে বাংলাদেশের একমাত্র ব্যাটসম্যান হিসেবে ওডিআইতে সাত হাজারের বেশি রান করার মাইলফলকও অর্জন করেন তিনি। সিরিজের তৃতীয় ও শেষ ম্যাচে ১০৯ বলে ১২৮ রান করে দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি অর্জন করেন তামিম।

এই তিন ম্যাচে ১৫৫ গড়ে তামিমের মোট রান সংগ্রহ ছিল ৩১০ এবং স্ট্রাইক রেট ছিল ১০৭ দশমিক ৬।

একই সিরিজে লিটন দাস প্রথম ম্যাচে করেন ১০৫ বলে ১২৬ রান। আর তৃতীয় ম্যাচে ১৪৩ বলে ১৭৬ রান করে বাংলাদেশের পক্ষে ওয়ানডেতে সর্বোচ্চ স্কোরারের রেকর্ড গড়েন।