Site icon রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতল ভবনের তকমা খোয়াচ্ছে বুর্জ খলিফা

বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতল ভবন বুর্জ খলিফা। দুবাইয়ের এই বহুতল ভবন নিয়ে মানুষের আগ্রহের শেষ নেই। ২০০৪ সালে শুরু হয়েছিল বুর্জ খলিফার নির্মাণকাজ। ২০১০ সালে জনগণের প্রবেশের জন্য খুলে দেওয়া হয় দুবাইয়ের এই টলেস্ট বিল্ডিংটি। কেবলমাত্র তেল নয়, বাণিজ্য, ট্যুরিজম সেক্টরে নজর ঘোরাতেই অত্যন্ত কৌশলগতভাবে এই গগণচুম্বী বহুতল নির্মাণ করে দুবাই প্রশাসন। তবে এবার বিশ্বের সর্বোচ্চ বহুতলের তকমা খোয়াতে চলেছে বুর্জ খলিফা। ১৪ বছর আগে নির্মিত হয়েছিল দুবাইয়ের এই বিল্ডিং। ৮২৮ মিটারের বুর্জ খলিফা রাতারাতি সব রেকর্ড ভেঙে চুরমার করে ফেলেছিল। তবে এবার তৈরি হচ্ছে একটি নতুন বিল্ডিং। যা বুর্জ খলিফার উচ্চতাকেও ছাপিয়ে যেতে চলেছে।গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের পক্ষ থেকে জানানো হচ্ছে, সৌদি আরবে বর্তমানে একটি বহুতল নির্মাণ করা হচ্ছে যা বুর্জ খলিফার থেকে উচ্চতায় অনেকটাই বেশি হবে। জেদ্দার এই টাওয়ারের নাম দেওয়া হয়েছে কিংডম টাওয়ার। এর উচ্চতা হবে এক হাজার মিটার।

গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের তথ্য অনুযায়ী, বর্তমানে বিশ্বের সর্বোচ্চ অবজারভেটরির তকমা রয়েছে টোকিওর অ্যাটাকানায়। এই বিল্ডিংটির উচ্চতা ৫ হাজার ৬৪০ মিটার। জেদ্দার এই কিংডম টাওয়ারে বিলাসবহুল হাউজিং, অফিস স্পেস, সার্ভিস অ্যাপার্টমেন্ট এবং দুই সার্বভৌম সরকারের যুগ্ম প্রশাসনিক কার্যকলাপও হবে। এই বহুতলই হতে চলেছে বিশ্বের সর্বোচ্চ পর্যটন স্থল।

কিংডম টাওয়ার তৈরিতে খরচ হচ্ছে ১.২৩ বিলিয়ন ডলার। যা বাংলাদেশি মুদ্রায় প্রায় ১৩ হাজার ২৮০ কোটি টাকা। বুর্জ খলিফার থেকে দামি এবং সর্বোচ্চ দুই খেতাবই কেড়ে নিতে পারে সৌদির এই টাওয়ার। উত্তর জেদ্দায় গড়ে ওঠা এই বহুতল ২০ বিলিয়ন ডলারের একটি প্রকল্পের অন্তর্ভূক্ত। পাঁচ বছর নির্মাণকাজ বন্ধ থাকার পর ২০২৩ সালে ফের একবার কিংডম টাওয়ারের নির্মাণ শুরু হয়। এখন পর্যন্ত এর নির্মাণ শেষ হওয়ার ডেডলাইন না মিললেও গড়ে উঠলে এটি বুর্জ খলিফার খেতাব ছিনিয়ে নেওয়ার হুমকি দিচ্ছি, তা বলাই বাহুল্য।

বুর্জ খলিফার লাইটিং আর প্রাচুর্যে মন হারাননি এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দায়। এই বিল্ডিং চড়ার শখ রয়েছে সকলেরই। বুর্জ খলিফার অন্দরমহল মূলত তিনটি বিষয়ের জন্য ব্যবহার করা হয়। হাউজিং, কর্পোরেট অফিস এবং হোটেল হিসেবে ব্যবহার করা হয় এই বিল্ডিং। খুব শিগগির এর আরও চমক সামনে আসতে চলেছে।

সূত্র: ট্রাভেল অ্যান্ড লেইজার এশিয়া, নিউজ১৮

Exit mobile version