বিশ্বনেতাদের অভিনন্দন ফ্রান্সের নতুন প্রেসিডেন্টকে

197

 ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে মধ্যপন্থী ইমানুয়েল ম্যাক্রন নিরঙ্কুশ ব্যবধানে জয়ের পর জার্মান চ্যান্সেলর আঙ্গেলা ম্যার্কেল, ব্রিটিশ প্রধানমন্ত্রী থেরেসা মে, ইউরোপীয় কমিশনের প্রধান জ্যঁ ক্লদ ইয়োঙ্কার, মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পসহ বিভিন্ন দেশের নেতারা অভিনন্দন জানিয়েছেন। নির্বাচনে ম্যাক্রন পেয়েছেন ৬৬.৬ শতাংশ ভোট। তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী মেরিন লে পেন পেয়েছেন ৩৩.৯৪ শতাংশ ভোট। জ্যঁ ক্লদ ইয়োঙ্কার এক টুইটবার্তায় বলেন, ‘ফরাসিরা ইউরোপীয় ভবিষ্যতের দিকে সমর্থন দেওয়ায় আমরা খুবই খুশি। এক সঙ্গে আমরা এক শক্তিশালী ও ন্যায়ভিত্তিক ইউরোপ গড়তে চাই।’ নির্বাচনের ফলাফল ঘোষণার পর ম্যাক্রনের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন আঙ্গেল ম্যার্কেল। জার্মান চ্যান্সেলরের মুখপাত্র স্তেফান সেইবার্ট এক টুইট বার্তায় বলেন, ‘অভিনন্দন ইমানুয়েল ম্যাক্রন। আপনার এ জয় শক্তিশালী ও ঐক্যবদ্ধ ইউরোপ গড়া এবং ফরাসি-জার্মান বন্ধুত্বের জয়।’
টুইটারে ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘বড় ব্যবধানে বিজয়ের মধ্য দিয়ে ফ্রান্সের পরবর্তী প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ায় ম্যাক্রনকে অভিনন্দন। আমি তার সঙ্গে কাজ করতে আগ্রহী।’
থেরেসা মে এক টুইটবার্তায় লিখেছেন, ‘নির্বাচনে সাফল্যের জন্য ইমানুয়েল ম্যাক্রনকে উষ্ণ অভিনন্দন জানাই। ফ্রান্স আমাদের অন্যতম ঘনিষ্ঠ মিত্র। তার সঙ্গে বিভিন্ন ইস্যুতে কাজ করতে চাই আমরা।’ ম্যাক্রনকে চীনা প্রেসিডেন্টও শি জিনপিং অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘আশা করছি, বৈশ্বিক শান্তি ও অগ্রগতির জন্য দায়িত্বশীল পদক্ষেপ রাখবেন ম্যাক্রন।’
ফ্রান্সের বিদায়ী প্রেসিডেন্ট ফ্রাঁসোয়া ওলাঁদও ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘প্রজাতন্ত্রের মূল্যবোধের পক্ষে আমাদের নাগরিকরা ঐক্যবদ্ধ। তাদের বেশির ভাগই এর পক্ষে রায় দিয়েছেন।’ ইউরোপীয় কাউন্সিলের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড টাস্ক অভিনন্দন জানিয়ে বলেছেন, ‘ফ্রান্সের জনগণ স্বাধীনতা, সমতা ও সম্মিলনকে গ্রহণ করে ভুয়া খবরকে প্রত্যাখ্যান করেছে।’ এছাড়া কানাডীয় প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো, অস্ট্রেলীয় প্রধানমন্ত্রী ম্যালকম টার্নবুলসহ আরও অনেক নেতারা ম্যাক্রনকে অভিনন্দন জানিয়েছেন।
উল্লেখ্য, ফ্রান্সের রাজনীতিতে বাম ও ডানপন্থী রাজনৈতিক প্রধান দু’টি ধারার বাইরে ১৯৫৮ সালের পর তিনিই প্রথম ব্যক্তি, যিনি দেশটির প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হলেন। ম্যাক্রনের দলে কোন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি না থাকা সত্ত্বেও নতুন এক সরকার গঠন করবেন তিনি। আগামি জুন মাসে দেশটিতে সংসদীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। ওই নির্বাচনের মাধ্যমেই রাজনীতিতে নিজের অবস্থান শক্ত করার চেষ্টা করবেন তিনি।