বিশ্বকাপে বেলজিয়ামকে অন্যতম ফেভারিট মনে করছেন ফুটবল পন্ডিতরা

198

স্টিভন জেরার, ডেভিড বেকহ্যাম, মাইকেল আওয়েনদের সোনালি প্রজন্ম ইংল্যান্ডকে বিশ্বকাপ দিতে পারেনি। রাশিয়া বিশ্বকাপে এ বার সোনালি প্রজন্ম বলা হচ্ছে এডেন অ্যাজার, ভ্যানসঁ কোম্পানিদের বেলজিয়ামকেও। যে দেশের বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন এখনও পূরণ হয়নি। রাশিয়ায় কি ছবিটা বদলাতে পারবেন অ্যাজাররা? এ বারের বিশ্বকাপে রবের্তো মার্তিনেসের বেলজিয়ামকে অন্যতম ফেভারিট মনে করছেন ফুটবল প-িতরা। বিশ্বকাপ শুরু হওয়ার ছয় দিন আগে সেই দলকে নিয়েই স্বপ্ন দেখানো শুরু করে দিলেন দলের অধিনায়ক অ্যাজার। তিনি বলেছেন, ‘‘আমাদের দলের যা শক্তি তাতে এ বার ট্রফি জেতার সুবর্ণ সুযোগ আছে। ইংল্যান্ড পারেনি, আমরা কিন্তু পারব। কারণ, ওদের দশ-পনেরো বছরের আগের সেই দলের চেয়ে এ বারের বেলজিয়াম আরও অনেক বেশি শক্তিশালী ও অভিজ্ঞ।’’ বিশ্বকাপের ইতিহাসে বেলজিয়াম কখনও ফাইনালে উঠতে পারেনি। সেমিফাইনালেই শেষ হয়ে গিয়েছিল তাদের দৌড। তা সত্তে¦ও দল নিয়ে এতটাই আশাবাদী অ্যাজার যে বলে দিয়েছেন, ‘‘এ বারের বেলজিয়াম দলে যারা খেলছে তারা সবাই ইংল্যান্ড, ইতালি বা স্পেনের সেরা লিগে খেলা সফল ফুটবলার। ফলে আমরা জানি আমরা কী? এটা চ্যাম্পিয়ন হওয়ারই দল।’’ দলের তারকাদের কথা বলতে গিয়ে থিবো কুর্তোয়া, রোমেলু লুকাকু, কেভিন দ্য ব্রুইনের নাম করেছেন অ্যাজার। ‘‘সমর্থক, সংবাদমাধ্যম, দেশের সব মানুষ চাইছেন এ বার আমরা কিছু করি। কারণ, এ রকম সোনালি প্রজন্মের দল দেশ কখনও দেখিনি। আমরা এখন তৈরি হচ্ছি।’’বেলজিয়াম যে গ্রুপে আছে সেখানে ইংল্যান্ড, পানামা এবং তিউনিজয়িা আছে। অ্যাজারের ইঙ্গিতেই স্পষ্ট, বেলজিয়াম এই গ্রুপ থেকে শেষ ষোলোয় শুধু নয়, ফাইনালে যাওয়ার কথাও ভাবছে। লুকাকুদের বিশ্বকাপ অভিযান শুরু হচ্ছে ১৮ জুন। পানামার বিরুদ্ধে ম্যাচ দিয়ে। আর ইংল্যান্ডের সঙ্গে অ্যাজারদের খেলা ২৮ জুন। মার্তিনেসের দলের অধিনায়ক যখন খেতাব জেতার স্বপ্ন দেখছেন, তখন গ্যারেথ সাউথগেটের ইংল্যান্ড দলে চলছে জ্যাক উইলেশেয়ারকে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ দেওয়া নিয়ে বিতর্ক। এবং তাতে সাউথগেটের পাশে এসে দাঁডেিয়ছেন ইংল্যান্ডের সর্বকালের অন্যতম সেরা ডিফেন্ডার রিয়ো ফার্ডিনান্ড।প্রিমিয়ার লিগে উইলশায়ার এ বার মাত্র একটি গোল করেছেন। গোল করতে সাহায্য করেছেন তিনটি। সেই তথ্য তুলে দিয়ে ফার্ডিনান্ড বলে দিয়েছেন, ‘‘সাউথগেটের সিদ্ধান্ত সঠিক। এটা নিয়ে কোনও বিতর্ক হওয়া ঠিক নয়। মাঝমাঠের ফুটবলার নির্বাচনে কোনও ভুল নেই। যদি আক্রমণাত্মক ফুটবলই খেলতে হয় তা হলে দালে আলি, জেসে (লিনগার্ড)দের মতো সক্ষম ফুটবলার মাঝমাঠে দরকার।’’ ফার্ডিনান্ড বলে দিয়েছেন, ‘‘ম্যাচ ফিট নয়, এ রকম ফুটবলার রাখলে দলের ভারসাম্য নষ্ট হয়। সেটা ২০০২ সালের বিশ্বকাপে ওয়েন রুনির মতো ফুটবলারের ক্ষেত্রেও সত্যি বলে প্রমাণিত হয়েছিল।’’