01713248557

বিপৎসীমা ছুঁইছুই পদ্মা নদীর পানি,পানিবন্দী সহস্রাধিক পরিবার

চাঁপাইনবাবগঞ্জে পদ্মা, মহানন্দা ও পুনর্ভবা নদীর পানি বৃদ্ধি অব্যাহত রয়েছে। পদ্মা নদীর পশ্চিমপাড়ে বসবাসকারী পাঁকা, দুর্লভপুর ও নারায়ণপুর ইউনিয়নের নিম্নাঞ্চলের সহস্রাধিক পরিবার পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। এরই মধ্যে মাসকলাইসহ অন্যান্য ফসলি জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। কোনো কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে পাঠদান বন্ধ রাখা হয়েছে। পদ্মা নদীর পানি বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে।
নারায়ণপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান  নাজির হোসেন বলেন- মাসকলাইসহ বিভিন্ন ফসল পানিতে তলিয়ে গেছে। নারায়ণপুর দারুল হুদা মাদরাসায় পানি ঢুকে পড়ায় সেটিসহ অন্যান্য শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানও বন্ধ হয়ে গেছে। তিনি বলেন- এর আগে ভাঙনের শিকার হয়ে যেসব পরিবার নতুন নতুন স্থানে সমতলে বসবাস করছিল সেইসব পরিবারগুলোও এরই মধ্যে পানিবন্দী হয়ে পড়েছে। অন্তত ৪০০ থেকে ৫০০ পরিবার এখন পানিবন্দী হয়ে পড়েছে।
অন্যদিকে শিবগঞ্জ উপজেলা নির্বাহী অফিসার  আফতাবুজ্জামান-আল-ইমরান বলেন- পদ্মা নদীতে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকায় পাঁকা ও দুর্লভপুর ইউনিয়নের প্রায় ৭০০ পরিবার পনিবন্দী হয়ে পড়েছে। ঝুঁকিপূর্ণ মানুষদের জন্য আশ্রয় কেন্দ্রগুলো প্রস্তুত রয়েছে। শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ রাখার বিষয়ে অবিলম্বে সিদ্ধান্ত হবে বলে তিনি জানান।
এদিকে পদ্মায় পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় নতুন করে আরো ২০০ হেক্টর জমির ফসল নিমজ্জিত হয়েছে। চাঁপাইনবাবগঞ্জ কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক ড. পলাশ সরকার জানান, পদ্মার পানি বৃদ্ধির কারণে শিবগঞ্জ উপজেলার পাঁকা, উজিরপুর, দুর্লভপুর, ছত্রাজিতপুর, ঘোড়াপাখিয়া এবং সদর উপজেলার নারায়ণপুর, আলাতুলী, শাহাজাহানপুর ও চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের ১ হাজার ৫৫৯ হেক্টর মাসকালাই, রোপা আউশসহ বিভিন্ন সবজি বন্যার পানিতে নিমজ্জিত হয়েছে।
পদ্মায় পাঁকা পয়েন্টে মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় পানির স্তর রেকর্ড করা হয় ২১.২৯ সেন্টিমিটার। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২২.০৫ মিটার। বিপৎসীমার ৭৬ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে পদ্মার পানি। অন্যদিকে মহানন্দার বিপৎসীমা হচ্ছে ২০.৫৫ মিটার। মঙ্গলবার বিকেল ৩টায় এ নদীর পানির স্তর মাপা হয় ১৯.০৭ মিটার। এ নদীর পানি বিপৎসীমার ১৪৮ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। অপর দিকে পুনর্ভবা নদীর পানি বিপৎসীমার ২.৫৩ মিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। এ নদীর বিপৎসীমা হচ্ছে ২১.৫৫ মিটার।