বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা কঠোরতায় ট্রাম্পের নির্বাহী আদেশ

253

বিদেশি শ্রমিকদের ভিসা দেওয়ার ক্ষেত্রে কঠোরতা আনতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প নির্বাহী আদেশ জারি করেছেন। এর আওতায় দক্ষ শ্রমিকদের কাজে নিয়োগের ক্ষেত্রে সব মার্কিন প্রতিষ্ঠানে বিদেশিদের বদলে মার্কিনিদের অগ্রাধিকার দেওয়ার কথা বলা হয়েছে। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসি এ খবর জানিয়েছে। ‘মার্কিন পণ্য ক্রয় ও মার্কিনিদের নিয়োগ করার লক্ষ্যে’ গত মঙ্গলবার এ আদেশ জারি করা। নতুন আদেশের মূল কথা হলো, ‘বাই আমেরিকান, হায়ার আমেরিকান’। এই আদেশ বাস্তবায়নে বিভিন্ন সংস্থাকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে এবং সরকারি বিভিন্ন প্রকল্পের কাজ পেতে বিদেশি কোন ঠিকাদার বা কোম্পানি যেন অংশ নিতে না পারে তা কঠোরভাবে মেনে চলার নির্দেশও দেওয়া হয়েছে। ট্রাম্প জানিয়েছেন, তার নির্বাচনী প্রচারণায় যে ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির কথা বলেছিলেন, তা বাস্তবায়নেই এই পদক্ষেপ নেওয়া হয়েছে। উইসকনসিন অঙ্গরাজ্যের কেনোশায় স্ন্যাপ অনলাইনের সদরদফতর সফরকালে ট্রাম্প ওই নির্বাহী আদেশে স্বাক্ষর করে বলেছেন, ‘মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থার সুযোগ নিয়ে অপেক্ষাকৃত কম মজুরিতে বিদেশি শ্রমিকদের কাজে নিয়োগ দেওয়া হচ্ছে বলে মার্কিন শ্রমিকরা কাজের সুযোগ হারাচ্ছে। এটা এবার বন্ধ হবে। ট্রাম্পের অভিযোগ, মার্কিন দক্ষ শ্রমিকদের বেশি মজুরি দিতে হওয়ায়, অল্প মজুরিতে বিদেশি শ্রমিকদের নিয়োগ করা হয়। নির্বাহী আদেশে বিদেশি শ্রমিকদেরও বেশি মজুরিতে নিয়োগের কথা বলা হয়েছে। ওই নির্বাহী আদেশকে ‘ঐতিহাসিক’ উল্লেখ করে ট্রাম্প আরও বলেন, ‘মার্কিন সরকারের নীতি হলো মার্কিন পণ্যকে অগ্রাধিকার দেওয়া এবং মার্কিন জনশক্তিকে কর্মসংস্থানে অগ্রাধিকার দেওয়া। যুক্তরাষ্ট্রই সবার আগে। এর আগে হোয়াইট হাউসের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতির আওতায় মার্কিন অভিবাসন পক্রিয়ায় সংস্কার ও দেশে উৎপাদিত পণ্য কিনতে জনগণকে উৎসাহিত করার লক্ষ্যে ট্রাম্প এ নির্বাহী আদেশ জারি করছেন। মার্কিন অর্থনীতিকে আরও গতিশীল করার দাবিতে এর আগে ট্রাম্প একাধিক নির্বাহী আদেশ জারি করলেও তার আইনি বৈধতা প্রশ্নের মুখে পড়েছে। এই নির্বাহী আদেশে শ্রম, আইন, স্বরাষ্ট্র ও পররাষ্ট্র বিভাগে প্রয়োজনীয় সংস্কার এনে সবচেয়ে দক্ষ ও সবচেয়ে বেশি মজুরির এইচ-১বি ভিসা নিশ্চিত করার আহ্বান জানানো হয়েছে। নির্বাহী আদেশে মার্কিন অভিবাসন ব্যবস্থায় ‘ভুয়া’ শ্রমিকদের খুঁজে বের করার নির্দেশও দেওয়া হবে ওই ফেডারেল বিভাগগুলোকে। মার্কিন অভিবাসন কর্তৃপক্ষের তথ্য অনুযায়ী, গত বছর এ সময়ে এইচ-১বি ভিসার সংখ্যা ছিল দুই লাখ ৩৬ হাজার। চলতি বছরে তা নেমে দাঁড়িয়েছে এক লাখ ৯৯ হাজার।