>> ফোরজি লাইসেন্সের জন্য নিলাম হবে না। আবেদন করে নির্দিষ্ট অর্থ জমা দিয়ে লাইসেন্স নেওয়া যাবে।
>> অপারেটরদের আবেদন ফি হিসেবে পাঁচ লাখ টাকা দিতে হবে। লাইসেন্স পেতে দিতে হবে ১০ কোটি টাকা। আর বার্ষিক নবায়ন ফি হবে ৫ কোটি টাকা।
>> এ লাইসেন্স নিতে অপারেটরদের ১৫০ কোটি টাকা ব্যাংক গ্যারান্টিও দিতে হবে। রেভিনিউ শেয়ারিংয়ে সরকারকে দিতে হবে আয়ের ৫ দশমিক ৫ শতাংশ।
>> অপারেটরগুলোকে ফোর জি তরঙ্গ বরাদ্দ পেতে অংশ নিতে হবে নিলামে। নীতিমালায় এক হাজার ৮০০ মেগাহার্টজের তরঙ্গ নিলামের ভিত্তিমূল্য ঠিক করা হয়েছে প্রতি মেগাহার্টজে ৩০ মিলিয়ন ডলার। আর থ্রি জির দুই হাজার ১০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ২৭ মিলিয়ন ডলার এবং ৯০০ মেগাহার্টজের প্রতি মেগাহার্টজ ৩০ মিলিয়ন ডলার ভিত্তিমূল্য নির্ধারণ করা হয়েছে।
>> আর টু জি ও থ্রি জি সেবার জন্য বরাদ্দ করা তরঙ্গে প্রযুক্তি নিরপেক্ষতা পেতে (যাতে ওই তরঙ্গ যে কোনো প্রযুক্তিতে ব্যবহার করা যায়) প্রতি মেগাহার্টজের জন্য চার্জ দিতে হবে।
ফোরজির বিষয়ে অপারেটররা যে ২৩টি বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করেছিল তার অধিকাংশই পূরণ করা হয়েছে বলে ডাক ও টেলিযোগাযাগ বিভাগ দাবি করলেও প্রত্যাশার প্রতিফলন হয়নি, বলছে অপারেটররা।
এ বিষয়ে বিটিআরসি চেয়ারম্যান শাহজাহান মাহমুদ বলেন, অপারেটরদের সাথে আলোচনা হয়েছে এবং হচ্ছে, তবে নির্ধারিত সময়েই ফোরজি লাইসেন্স বিতরণ ও তরঙ্গ নিলাম অনুষ্ঠিত হবে।
প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পর ফোরজি সেবার লাইসেন্স ও তরঙ্গ নিলামের নীতিমালা গত ২৯ নভেম্বর পায় টেলিযোগাযোগ বিভাগ। আগামি ফেব্রুয়ারি থেকেই ফোরজি সেবা শুরু করা যাবে বলে সরকার আশা করছে।