বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন যথাযথভাবে প্রতিপালনে সুপ্রিমকোর্টের নির্দেশনা

275
বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর বিশেষ বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালনে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। সুপ্রিমকোর্টের ভারপ্রাপ্ত রেজিষ্ট্রার জেনারেল মো. জাকির হোসেন স্বাক্ষরিত এ সংক্রান্ত সার্কুলার সুপ্রিমকোর্টের ওয়েবসাইটেও প্রকাশ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ দেশের সামগ্রিক আর্থ-সামাজিক প্রেক্ষাপট বিবেচনায় প্রণীত একটি বিশেষ আইন। এই আইনে অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ (২১বছর পূর্ণ করেন নাই এমন কোন পুরুষ) এবং মহিলা (১৮ বছর পূর্ণ করেন নাই এমন নারী) এর বিবাহ নিষিদ্ধ করা হয়েছে। সার্কুলারে বলা হয়, ‘বাল্য বিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ১৯ ধারায় নিতান্তই ব্যতিক্রম হিসেবে কোনো বিশেষ প্রেক্ষাপট বিবেচনায় অপ্রাপ্ত বয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থে, আদালতের নির্দেশ এবং পিতা-মাতা বা প্রযোজ্য ক্ষেত্রে অভিভাবকের সম্মতিক্রমে বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানের বিশেষ বিধান সন্নিবেশিত করা হয়েছে। এ বিশেষ বিধানটি আইনের ব্যতিক্রম হিসেবে সর্বাবস্থায় সর্বোচ্চ সতর্কতার সাথে প্রয়োগযোগ্য।’ তবে এ ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে ঘটনার সত্যতা নিরূপণে আইনটির ১৬ ধারায় আদালতকে সরেজমিন তদন্তের এখতিয়ার দেয়া হয়েছে। আদালত কর্তৃক বাল্যবিবাহ অনুষ্ঠানের অনুমতি প্রদানের পূর্বে অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থ রক্ষিত হওয়ার বিষয় সম্পর্কে সরেজমিন তদন্ত বা বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান করা সমীচীন মর্মে প্রতীয়মান হয়। সার্কুলারে বলা হয়, উল্লেখিত ব্যতিক্রম ক্ষেত্রে তথা বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ১৯ ধারায় অপ্রাপ্ত বয়স্কের বিবাহ অনুষ্ঠানের আবেদন/কার্যধারাসমূহ অপ্রাপ্তবয়স্কের সর্বোত্তম স্বার্থ নিশ্চিকরণার্থে কোনো প্রকার তদন্ত/অনুসন্ধান কার্যক্রম না করেই বাল্য বিবাহের অনুমতি প্রদান করা হচ্ছে। এতে করে আইন প্রণয়নের উদ্দেশ্য ব্যর্থতায় পর্যবসিত হচ্ছে এবং অপ্রাপ্ত বয়স্ক পুরুষ ও নারীর স্বার্থ বিঘ্নিত হচ্ছে। যা কোনোভাবেই কাম্য নয় বলে সার্কুলারে বলা হয়। বাল্যবিবাহ নিরোধ আইন, ২০১৭ এর ১৯ ধারায় দাখিলী অপ্রাপ্ত বয়স্কের বিবাহ অনুষ্ঠানের আবেদন নিষ্পত্তির পূর্বে সরেজমিন তদন্ত/বিচার বিভাগীয় অনুসন্ধান কার্যক্রমসহ সকল বিধি-বিধান যথাযথভাবে প্রতিপালন নিশ্চিত করতে সংশ্লিষ্টদের প্রতি নির্দেশক্রমে জারী করা সার্কুলারে অনুরোধ করা হয়।