বার্সা-বায়ার্নে হলে বরখাস্ত করা হতো : গুয়ার্দিওলা

473

কোচিং ক্যারিয়ারের অনেক সাফল্য পাওয়া পেপ গুয়ার্দিওলা প্রথমবার শিরোপাবিহীন মৌসুম শেষ করতে যাচ্ছেন। স্প্যানিশ এই কোচ মনে করছেন, এমনটা বার্সেলোনা বা বায়ার্ন মিউনিখে হলে তাকে বরখাস্ত করা হতো।
২০০৮ সালে বার্সেলোনা মূল দলের দায়িত্ব নেওয়ার মধ্য দিয়ে প্রধান কোচ হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু গুয়ার্দিওলার। প্রথম মৌসুমেই কাতালান ক্লাবটিকে ‘ট্রেবল’ জেতান তিনি। কাম্প নউয়ে চার বছরের ক্যারিয়ারে মোট ১৪টি শিরোপা জিতেছিলেন। আর ২০১৩ থেকে ২০১৬ পর্যন্ত বায়ার্নের কোচ হিসেবে জিতেন মোট ৭টি শিরোপা।
প্রিমিয়ার লিগে কোচ হিসেবেও শুরুটা ভালোই হয়েছিল গুয়ার্দিওলার। তার অধীনে টানা ১০ ম্যাচ জিতেছিল সিটি, উঠেছিল লিগ টেবিলের শীর্ষে। কিন্তু এরপরই ছন্দপতন, একের পর এক ব্যর্থতায় সবকটি শিরোপাই হাতছাড়া হয় তাদের।
এখন লিগের শীর্ষ চারে থেকে চ্যাম্পিয়ন্স লিগে জায়গা করে নেওয়ার জন্য লড়ছে গুয়ার্দিওলার দল।
গুয়ার্দিওলা বলেন, “বড় ক্লাবে আমার এই পরিস্থিতিতে, আমি বরখাস্ত হতাম। আমি বাদ পড়তাম। এটা যদি বার্সেলোনা ও বায়ার্ন হয়, আপনি না জিতলে আপনি বাদ। এখানে আমি দ্বিতীয় সুযোগ পেয়েছি এবং আগামী মৌসুমে ভালো করার চেষ্টা করবো।”
প্রিমিয়ার লিগসহ মোট তিনটি শিরোপাজয়ী মানুয়েল পেল্লেগ্রিনিকে সরিয়ে আরও সাফল্যের আশায় গুয়ার্দিওলাকে নিয়োগ দেয় ক্লাবটি। তিনি নিজেও তা ভালো করেই জানেন।
“আমি অনেকবার বলেছি, আগে আমি যা করেছি সে কারণেই আমার কাছে এই প্রত্যাশা। এই ক্লাবে এসে আমি আমার সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। কিছু কোচের উপর এই চাপ থাকবে; তাই আমাকে তা সইতে হবে। যদি না পারি বাড়ি চলে যাব।”
প্রথম মৌসুমে প্রত্যাশা মেটাতে পুরোপুরি ব্যর্থ হওয়ার পরও তাকে রেখে দেওয়ায় ক্লাব কর্তৃপক্ষের প্রতি কৃতজ্ঞ ৪৬ বছর বয়সী গুয়ার্দিওলা।“এই বছর জেতার চেষ্টা করতে আমি এখানে এসেছিলাম, তা সম্ভব হয়নি।”লিগে এ পর্যন্ত ৩৬ ম্যাচে ৭২ পয়েন্ট নিয়ে চতুর্থ স্থানে আছে ম্যানচেস্টার সিটি। এক ম্যাচ বেশি খেলা লিভারপুল ৭৩ পয়েন্ট নিয়ে তৃতীয় স্থানে।৩৬ ম্যাচে ৬৯ পয়েন্ট নিয়ে পঞ্চম স্থানে থাকা আর্সেনালও চ্যাম্পিয়ন্স লিগে ওঠার লড়াইয়ে আছে।