বাংলাদেশ বড় সুযোগের সামনে দাঁড়িয়ে

291

অস্ট্রেলিয়া শেষ যখন বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট খেলেছে, তখন বর্তমান বাংলাদেশ দলের কারোর অভিষেকই হয়নি। আসছে অস্ট্রেলিয়া সিরিজটা তাই বাংলাদেশের খেলোয়াড়দের জন্য একটা নতুন দ্বীপ আবিষ্কার করার মতো ব্যাপার। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে দশ বছরের বেশি সময় পার করে ফেলার পর মুশফিকুর রহিম, সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবালদের হবে নতুন এক অভিজ্ঞতা। বলাই বাহুল্য, এই অভিজ্ঞতার জন্য মুখিয়ে আছেন সিনিয়ররা। আর জুনিয়রদের কথা তো বলার অপেক্ষা রাখে না। সৌম্য সরকারদের তো অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খুব একটা ক্রিকেট খেলারই সুযোগ হয়নি। ফলে তাদের জন্য এই টেস্ট সিরিজ হতে যাচ্ছে নতুনতর এক ব্যাপার। গতকাল সৌম্য বলছিলেন, এই নতুন অভিজ্ঞতাটাকে তারা মনে করছেন বড় একটা সুযোগ। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো খেলা বা অভিজ্ঞতার জন্য খেলা নয়। সৌম্যর ভাষ্য, তারা এই দলটির বিপক্ষে জয়ের জন্য খেলবেন। জয় দিয়েই নতুন এই অভিজ্ঞতাটাকে সুখস্মৃতিতে পরিণত করে রাখবেন, ‘এটা আমার জন্য অনেক বড় সুযোগ। আমাদের এখানে তারা আসবে। তাদের বিপক্ষে খেলতে আমরা মুখিয়ে আছি। আশা করি আমরা ভালো ক্রিকেট খেলে অস্ট্রেলিয়াকে হারাতে পারব। যেহেতু অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আমার প্রথম টেস্ট সিরিজ হবে। আমি এটাকে স্মরণীয় করে রাখতে চাই। আমার ব্যাটিংয়ের মাধ্যমে যেন আমরা দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে প্রথম কোনো টেস্ট জিততে পারি সেই চেষ্টাই করব।’
অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খেলাটাই কেবল চ্যালেঞ্জ নয়। দীর্ঘদিন পর টেস্ট খেলারও একটা চ্যালেঞ্জ থাকবে। সৌম্য বলছিলেন, ওয়ানডে ফরম্যাট থেকে দ্রুত তারা যেন টেস্টে এসে মানিয়ে নিতে পারেন, সেই চেষ্টা করার প্রতিশ্রুতি দিলেন বাহাতি ওপেনার, ‘অবশ্যই চেষ্টা করি। চ্যাম্পিয়নস ট্রফিতে ওয়ানডে ছিল। অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজ। দুটি ভিন্ন ফরম্যাটের খেলা। এখন আপাতত ফিটনেস ক্যাম্প নিয়ে চিন্তা করছি। নিজেকে কতটুকু ফিট করে নেওয়া যায় সেগুলো নিয়ে ভাবছি। যদি সুযোগ পাই চেষ্টা করবো অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে ভালো কিছু করার।’
আপাতত এই চেষ্টার অংশ হিসেবে সৌম্যরা মেতেছেন ফিটনেস বাড়িয়ে নেওয়ার কসরতে। চলছে কন্ডিশনিং ক্যাম্প। সৌম্য বলছেন, নিজেদের দুর্বলতাটা খুঁজে বের করা এই ক্যাম্পের বড় একটা উদ্দেশ্য, ‘ফিটনেস ক্যাম্পতো সব সময় একজন ক্রিকেটারের জন্য জরুরি। টানা ক্রিকেট খেলার জন্য এই ধরনের ক্যাম্প অত্যন্ত জরুরি। এখানে নিজেকে ফিট করে নেওয়ার সুযোগটা অনেক বেশি। আমি সেভাবেই চেষ্টা করছি। নিজের দুর্বল জায়গাগুলো নিয়ে কাজ করছি।’
সবকিছুর মুখ্য উদ্দেশ্য একটাইÑঅস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ভালো করা। সৌম্য মনে করেন, গত কয়েক মাস বাংলাদেশ টেস্টে যেমন করছে, তাতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে জয় আশা করাটা অন্যায় হবে না, ‘আমরাতো সাধারণত এমনিতেই টেস্ট কম খেলি। তার মধ্যে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে আরও কম খেলি। গত কিছুদিন ধরে আমরা টেস্ট ভালো খেলছি। সর্বশেষ ইংল্যান্ডের বিপক্ষে আমরা টেস্ট সিরিজে ভালো করেছি।’