বাংলাদেশ ফিল্ডিংয়ে জোর দিচ্ছে

178

নতুন অফস্পিনার নাঈম হাসানকে নিয়ে বোলিংয়ের লাইন ঠিক করা নিয়ে অনুশীলন করছিলেন মেহেদী হাসান মিরাজ। এর মধ্যে কোচের ডাক এলো ফিল্ডিং অনুশীলনের জন্য। একটু অন্য ধরনের ক্যাচিং প্র্যাকটিস। বাউন্ডারি লাইনে দাঁড়িয়ে আছেন যেনো। এ অবস্থায় বল উড়ে আসছে। আর ফিল্ডারদের শরীরের ভারসাম্য ঠিক রেখে এক হাতে ক্যাচ নিতে হচ্ছে। কখনও সাফল্য এলো এই অনুশীলনে, কখনও এলো না। তবে দিনশেষে মেহেদী হাসান মিরাজ বলছিলেন, এ ধরনের অনুশীলন তাদের ম্যাচে সাফল্য এনে দিতে পারবে, তাতে সন্দেহ নেই।
সোমবার এশিয়া কাপকে সামনে রেখে ক্যাম্প শুরু করেছে বাংলাদেশ দল। গতকাল ছিল কন্ডিশনিং ও ফিল্ডিং অনুশীলন। মিরাজ বললেন, ফিল্ডিং বিশেষ করে ক্যাচ নেওয়ার ওপর খুব জোর দিচ্ছেন এখন তারা। তারই অংশ হিসেবে এক হাতে ক্যাচ ধরার চেষ্টা হলো বলে বললেন তিনি, ‘অনুশীলনে কঠোর পরিশ্রম করলে ম্যাচে কাজটা সহজ হয়ে যায়। এক হাতে যদি ক্যাচ সহজেই ধরতে পারি, তাহলে দুই হাতে ধরতে সহজ হয়ে যায়। সেইটাই অনুশীলন করছিলাম আমরা। কঠিন ক্যাচ প্র্যাক্টিস করলে পরে ক্যাচিং সহজ হয়ে যায়।’
বাউন্ডারি লাইনে এক হাতে যেভাবে ক্যাচ নিতে হয়, এই অনুশীলনের ফলে সেটা ম্যাচে অনেক সহজ হয়ে যাবে বলে মিরাজের বিশ্বাস, ‘অনুশীলন যতটা কঠিন হবে, ম্যাচে কাজটা সহজ হয়ে যায়। অনুশীলনটা কতোটা হার্ড করা যায়, সেই চেষ্টা করছি। আমাদের সামনে খুব বেশি সময় নেই। আমরা এখানে যতটুকু সময় পাচ্ছি, সেই সময়টা আমরা হার্ড প্র্যাকটিস করছি। এ অনুশীলনটা সঠিকভাবে করতে পারলে আমাদের ম্যাচের সময় কাজটা সহজ হয়ে যাবে। এ জন্যই আমরা ওইসব প্র্যাকটিস করছিলাম।’
সবমিলিয়ে মিরাজ বলছিলেন, তারা ফিল্ডিংয়ের ওপর খুব জোর দিচ্ছেন। কারণ, একটা ওয়ানডে ম্যাচে ব্যাটিং-বোলিংয়ের পাশাপাশি ফিল্ডিংই ঠিক করে দিতে পারে ম্যাচের ভাগ্য, ‘ক্রিকেটে ব্যাটিং, বোলিং দুটোই গুরুত্বপূর্ণ। তবে সবচেয়ে বেশি গুরুত্বপূর্ণ ফিল্ডিং। একটি ওয়ানডে ম্যাচে ২০-৩০ রান ফিল্ডিং করে বাঁচাতে পারলেই ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। দিন শেষে দেখা যায় সেই রানটাই জয়-পরাজয় নির্ধারণে কাজে দেয়। সেভাবেই আমরা অনুশীলন করছি, কঠোর পরিশ্রম করছি ম্যাচ সিচুয়েশনের কথা চিন্তা করে।’
আর এসব অনুশীলনই আপাতত এশিয়া কাপকে সামনে রেখে। এশিয়া কাপে দলের সাফল্যের ব্যাপারে মিরাজ খুবই আশাবাদী। বিশেষ করে গত তিন-চার বছর বাংলাদেশ যে ধরনের ক্রিকেট খেলছে, তা খেলতে পারলে সাফল্য আসবে বলে তিনি মনে করেন, ‘আমরা শেষ চার বছর কিন্তু ভালো ক্রিকেট খেলে আসছি। বিশ্বকাপ দেখেন, দেশে বলেন বাইরে বলেন। আমরা অনেক ভালো ক্রিকেট খেলেছি, দাপুটে ক্রিকেট খেলেছি। ওইটাই আমাদের আত্মবিশ্বাস দিচ্ছে। আমাদের সিনিয়র ক্রিকেটাররা অনেক দাপট দেখিয়ে খেলে আসছে। জুনিয়ররাও অবদান রেখেছে। সব মিলিয়ে আমরা সবাই আত্মবিশ্বাসী। আমরা যদি আমাদের শতভাগ দিতে পারি তাহলে ভালো কিছু হবে।’
মিরাজ মনে করেন, এশিয়া কাপটা তাদের সবার জন্যই একটা চ্যালেঞ্জের ব্যাপার হবে। আর এ চ্যালেঞ্জ নিতে মুখিয়ে আছেন তারা, ‘চ্যালেঞ্জ তো থাকবেই। প্রতিটা খেলাই কিন্তু চ্যালেঞ্জ। আমাদের দলে সবাই অনেক কঠোর পরিশ্রম করছে। ব্যক্তিগতভাবে অনেকে অনুশীলন করেছে। আশা করি সবার পরিশ্রম কাজে লাগবে। যার যার সেরাটা দিতে পারলেই ভালো হবে।’