বাংলাদেশ জ্যামাইকা টেস্ট জিতেছে তাসকিন বললেন

কিংস্টনের স্যাবাইনা পার্কে বাংলাদেশের বিপক্ষে টেস্ট জিততে হলে ইতিহাস গড়তে হতো স্বাগতিক ওয়েস্ট ইন্ডিজকে। কারণ এই মাঠে ২১২ রানের বেশি তাড়া করে জয়ের রেকর্ড নেই। এবার উইন্ডিজের লক্ষ্য ছিল ২৮৭ রানের। তবে টাইগার বাঁহাতি স্পিনার তাইজুলের ঘুর্ণিতে উইন্ডিজ দ্বিতীয় ইনিংসে অলআউট হয়েছে ১৮৫ রানে। বাংলাদেশ জ্যামাইকা টেস্ট জিতেছে ১০১ রানে। ২০০৯ সালের পর প্রথম অর্থাৎ ১৫ বছর পর ক্যারিবিয়ান মাটিতে টেস্ট জয়ের স্বাদ পেল বাংলাদেশ। ম্যান অব দা সিরিজের স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে যৌথভাবে দু’জনকে। তবে একটি ট্রফি তো আর দু’জনকে ভাগ করে দেওয়া যায় না। জেডেন সিলস সৌজন্য দেখিয়ে তাসকিন আহমেদকে বললেন ট্রফি রেখে দিতে। বাংলাদেশের অভিজ্ঞ পেসার তাতে বেজায় খুশি। বাংলাদেশের হয়ে টি-টোয়েন্টিতে আগে দুই দফায় সিরিজ-সেরা হয়েছেন তিনি। ওয়ানডেতেও হয়েছেন একবার। টেস্টেই কেবল শূন্যতা ছিল। এবার সেটিও হয়ে গেল। প্রথম টেস্টের তো দ্বিতীয় ইনিংসে বিধ্বংসী বোলিংয়ে ছয় উইকেট শিকার করেন। টেস্ট ক্যারিয়ারে প্রথমবার পান ইনিংসে পাঁচ উইকেটের স্বাদ। ম্যাচে পান আট উইকেট। জ্যামাইকায় এত উইকেট পাননি। তবে তিনটি উইকেট নিয়ে দলের দারুণ জয়ে ভূমিকা রাখেন ঠিকই। সঙ্গে প্রাপ্তি সিরিজ সেরার পুরস্কার। পিছিয়ে পড়েও বাংলাদেশের সিরিজ ড্র করতে পারা এবং সেখানে সিরিজ-সেরা হয়ে তাসকিনের খুশি ছুঁতে চাইল আকাশ। তিনি বলেন, “এটা অনেক বড় অর্জন। আমরা টেস্ট সিরিজ ড্র করলাম। ওদের কন্ডিশনে অনেক বড় বড় দল ভোগান্তিতে পড়ে। আমরা একটু কঠিন সময় পার করছিলাম। পাকিস্তানে সিরিজ জয়ের পর কয়েকটি সিরিজ হেরে যাওয়াতে আমরা মানসিকভাবে দমে গিয়েছিলাম। তবে শক্তভাবে ঘুরে দাঁড়াতে পেরেছি।দুটি ম্যাচেই আমি আমার সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করেছি এবং আল্লাহতায়ালা আমাকে এই পুরস্কার দিয়েছেন ম্যান অব দা সিরিজ হিসেবে। আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শুরুর আগে থেকেই চোট তার নিত্য সঙ্গী। এখনও তিনি বেশ চোটপ্রবণ। অনেকবার পুনবার্সনের কষ্টদায়ক ও ক্লান্তিকর প্রক্রিয়য় তাকে যেতে হয়েছে। সবশেষ এই কাঁধের চোট কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফিরতেও অনেক ঘাম ঝরাতে হয়েছে তাকে। তিনি বলেন, “আশা করি, মেনি মোর টু কাম। কাঁধের সমস্যা কাটিয়ে টেস্ট ক্রিকেটে ফেরার অনেক চেষ্টা করছিলাম। এখন আগের চেয়ে ভালো আছে (অবস্থা)। আশা করছি এমন আরও অর্জন হবে সামনে। তাসকিন আরও বলেন, “আমি খুবই খুশি। যদিও কাজটা সহজ ছিল না। কাঁধের অবস্থা বাজে ছিল। স্রষ্টার কৃপায় এখন টেস্ট ক্রিকেটে ফিরে আসছি। অনেক কষ্ট করতে হয়েছে। সেটি এখন ফলপ্রসূ হতে শুরু করেছে। আশা করি, মেনি মোর টু কাম।