‘বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি’ প্রকল্প উদ্বোধন

36

বাংলাদেশে তথ্য প্রাপ্তির অধিকারে নারীর অগ্রগতি’ শীর্ষক প্রকল্পের উদ্বোধন এবং অবহিতকরণ সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সম্মেলন কক্ষে এই সভা অনুষ্ঠিত হয়। ইউনাইটেড স্টেটস এজেন্সি ফর ইন্টারন্যাশনাল ডেভেলপমেন্টের আর্থিক সহযোগিতায় এবং তথ্য কমিশন বাংলাদেশ ও দ্য কার্টার সেন্টার এ সভার আয়োজন করে। সংশ্লিষ্টরা জানান, তথ্য অধিকার আইন, ২০০৯ ব্যবহার করে প্রান্তিক নারীদের সম্ভাবনাকে কাজে লাগানোর লক্ষ্যে প্রকল্পটি ২০২৮ সালের মধ্যে ১০টি জেলায় বাস্তবায়িত হবে। সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে প্রধান তথ্য কমিশনার ড. আবদুল মালেক বলেন, আমাদের বর্তমান অবস্থা বুঝতে হবে। যদিও অগ্রগতি হয়েছে, বাংলাদেশের অনেক নারী এখনও গুরুত্বপূর্ণ তথ্য প্রাপ্তির ক্ষেত্রে বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন। তথ্য আমাদের সব জায়গায় ছড়িয়ে দিতে হবে, তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতের মাধ্যমে স্বচ্ছতা, জবাবদিহিতা ও শুদ্ধাচার কৌশল বাস্তবায়নের মাধ্যমে একটি সমৃদ্ধ বাংলাদেশ বিনির্মাণে সবাইকে ভূমিকা রাখতে হবে।

তিনি বলেন, টেকসই উন্নয়নের লক্ষ্য অর্জনে তথ্য অধিকার আইনের সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছানোর ক্ষেত্রে ভূমিকা পালন করতে হবে। সেজন্য আমাদের বিদ্যমান আইনকেও সামনে রেখে এগিয়ে যেতে হবে।আরেক তথ্য কমিশনার শহীদুল আলম ঝিনুক বলেন, সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে তথ্য অধিকার আইন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারকারীদের মধ্যে আইনটি সম্পর্কে সচেতনতার অভাব রয়েছে। আইনটি সম্পর্কে জনসচেতনতা সৃষ্টির মাধ্যমে আইনটির সুফল জনগণের দোরগোড়ায় পৌঁছাতে সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান তিনি।

তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারে এখন পর্যন্ত নারীদের অংশগ্রহণ অত্যন্ত কম উল্লেখ করে তথ্য কমিশনার মাসুদা ভাট্টি বলেন, প্রশাসনের সব ক্ষেত্রে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিতে তথ্য অধিকার অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। তথ্য অধিকার আইন ব্যবহারে এখন পর্যন্ত নারীদের অংশগ্রহণ অনেক কম। সরকারি সব কার্যক্রমে স্বচ্ছতা নিশ্চিত করতে তথ্য অধিকার আইনকে কাজে লাগাতে জনগণকে উদ্বুদ্ধ করতে হবে। এ সময় ইউএসএআইডির মিশন ডিরেক্টর রিড জে অ্যাশলেম্যান তথ্যের অবাধ প্রবাহ নিশ্চিতে মানুষের জীবনমানের অগ্রগতিতে সবার দায়িত্ব পালনের আহ্বান জানান। অনুষ্ঠানে অনলাইনে যুক্ত ছিলেন দ্য কার্টার সেন্টারের রুল অব ল’ প্রোগ্রামের অন্তর্বর্তীকালীন পরিচালক হিলারি ফোর্ডেন, তথ্য কমিশন বাংলাদেশের সচিব জুবাইদা নাসরীন ও কার্টার সেন্টারের চিফ অব পার্টি সুমনা সুলতানা মাহমুদসহ বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ৬৪ জন কর্মকর্তা।