বাংলাদেশের ৮ জন ধোনির সঙ্গে যে তালিকায়

443

এমন রেকর্ড কেউই নিজের করতে চান না। কিন্তু পরিস্থিতির কারণে অনেক সময় এসব রেকর্ডের পাশে নাম লেখা হয়ে যায়। গতকাল অ্যান্টিগাতে যেমন মহেন্দ্র সিং ধোনির নামের পাশে লেখা হয়ে গেল এমনই এক রেকর্ড। মারকুটে ব্যাটিংয়ের জন্য যিনি বিখ্যাত, প্রতিপক্ষের বোলারদের ছত্রখান করে দিতে যিনি সিদ্ধহস্ত, সেই ধোনিই কিনা ভারতের পক্ষে মন্থরতম ফিফটিটি করলেন! ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১০৮ বলে ফিফটি পূরণ করে ২০০১ সালের পর ভারতের পক্ষে মন্থরতম ইনিংসটি খেললেন ভারতকে তিনটি বৈশ্বিক শিরোপা জেতানো সাবেক এই অধিনায়ক। এটি ওয়ানডে ইতিহাসে অন্যতম মন্থর ফিফটি।
ওয়ানডে ইতিহাসে মন্থরতম ফিফটির রেকর্ডে নাম আছে বাংলাদেশের বেশ কয়েকজন ব্যাটসম্যানের। এই দলে শীর্ষে আছেন জাভেদ ওমর বেলিম। ২০০৫ সালে নটিংহামে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১১৩ বলে ফিফটি করেছিলেন জাভেদ। সে ম্যাচে তিনি শেষ পর্যন্ত ৫৯ রানের ইনিংস খেলেছিলেন ১৪৫ বলে। মন্থরতম ফিফটিতে জাভেদের সঙ্গে আছেন মেহরাব হোসেন সিনিয়র, মোহাম্মদ আশরাফুল, জুনায়েদ সিদ্দিক, মেহরাব হোসেন জুনিয়র, মিনহাজুল আবেদীন, রাজিন সালেহ, হান্নান সরকার ও খালেদ মাসুদ। জাভেদ ওমর এই তালিকায় নাম তুলেছেন দুবার।
মেহরাব ১৯৯৯ বিশ্বকাপে ডাবলিনে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ১১২ বলে ফিফটি করেছিলেন। আশরাফুল ২০০৪ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৮ বলে ফিফটি করেছিলেন। মিনহাজুল আবেদীনের মন্থরতম ফিফটিটি ১৯৯৯ বিশ্বকাপে; এডিনবরায় স্কটল্যান্ডের বিপক্ষে। চরম বিপর্যয়ের মুখে মিনহাজুল ১০৪ বল খেলে ফিফটি করেছিলেন। ১১৬ বলে তাঁর ৬৮ রানের ইনিংসটি বিশ্বকাপে বাংলাদেশের প্রথম জয়ে দারুণ অবদান রেখেছিল। মেহরাব জুনিয়র অবশ্য মিনহাজুলের চেয়ে একটি বল বেশি খেলে (১০৫) ওয়ানডে ফিফটি পেয়েছিলেন। ২০০৬ সালের ডিসেম্বরে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে মেহরাব জুনিয়র ১০৫ বলে ফিফটি করেছিলেন। মেহরাব জুনিয়রের মতোই জুনায়েদ সিদ্দিক ১০৫ বলে ফিফটি করেছিলেন। এটিও জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে। তবে জুনায়েদেরটি মেহরাবের ৪ বছর পর, ২০১০ সালে। এই দলের অন্য সদস্যদের মধ্যে রাজিন সালেহ ও হান্নান সরকার ১০০ বলে ফিফটি পান। খালেদ মাসুদ করেছিলেন ৯৭ বলে। জাভেদ ওমর দ্বিতীয়বারের মতো এই তালিকায় নাম লেখান ৯৯ বলে ফিফটি করে।
ভারতীয় ক্রিকেটারদের মধ্যে কাল সৌরভ গাঙ্গুলীকে পেছনে ফেলেছেন ধোনি। ছাড়িয়ে যেতে পারেননি সাবেক ওপেনার সদাগোপন রমেশকে। রমেশ ১৯৯৯ সালে কেনিয়ার বিপক্ষে ১১৭ বলে ফিফটি করেছিলেন। সৌরভ ২০০৫ সালে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ১০৫ বলে ফিফটি ছুঁয়েছিলেন। ২০০৭ সালে পোর্ট অব স্পেনে বাংলাদেশের বিপক্ষে ১০৪ বলে আরও একটি ধীরগতির ফিফটি করেছিলেন ভারতের অন্যতম সফল এই অধিনায়ক।
ওয়ানডে ইতিহাসে মন্থরতম ফিফটিটি ১৪৮ বলেÑকানাডার ঈশ্বর মারাজের। ২০০৩ সালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ১৪৮ বলে ফিফটি পূরণ করার পর ১৫৫ বলে ৫৩ রান করে আউট হয়েছিলেন তিনি। দ্বিতীয় মন্থরতম ফিফটিটি বারমুডার অরভিন রোমানিরÑ১২১ বলে; কেনিয়ার বিপক্ষে, ২০০৭ সালে। তৃতীয়, চতুর্থ ও পঞ্চম স্থানে আছেন জিম্বাবুয়ের ব্রেন্ডন টেলর, পাকিস্তানের মিসবাহ-উল-হক ও শ্রীলঙ্কার কুমার সাঙ্গাকারা। টেলরেরটা ১২১ বলে, মিসবাহরটা ১১৯ বলে আর সাঙ্গাকারারটা ১১৮ বলে। ২০০৯ সালের জানুয়ারিতে ঢাকায় ত্রিদেশীয় সিরিজে বাংলাদেশের বিপক্ষে চরম বিপর্যয়ের মুখে দাঁড়িয়ে একাই লড়েছিলেন সাঙ্গাকারা।