বাংলাদেশের সাবিনা ইংল্যান্ডে খেলার যোগ্যতা রাখেন

166

কতটা কষ্ট বয়ে বেড়াচ্ছেন তানভি হ্যানস? হোয়াটস অ্যাপের নিষ্প্রাণ বার্তা বিনিময়েও আন্দাজ করা গেল সেটা। ইংলিশ ক্লাব টটেনহাম ও ফুলহামে খেলার অভিজ্ঞতা নিয়ে এসে মাতৃভূমি খেলতে এসেছেন। কিন্তু সেই ভারতীয় লিগেই খেলতে পারছেন না, এর চেয়ে বেশি কষ্ট আর হয় নাকি! ভারতীয় বংশোদ্ভূত এ মেয়ের কষ্টের পরোক্ষ কারণ বাংলাদেশের অধিনায়ক সাবিনা খাতুন!
২০১১ সালে ভারত থেকে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমানো তানভি বর্তমানে ব্রিটিশ পাসপোর্টধারী। সাবিনার মতো ইন্ডিয়ান উইমেন্স লিগে তামিলনাড়ুর সিথু এফসিতে তাই নাম লেখাতে হয়েছে বিদেশি কোটায়। দলের একমাত্র বিদেশি হিসেবে মাঠে থাকার জন্য তাদের মধ্যে শুরু হয়েছে লড়াই। সে লড়াইয়ে এখন পর্যন্ত জয়ীর নাম সাবিনা।  লিগের নিয়ম অনুযায়ী প্রতি ম্যাচে ১৮ সদস্যের দলে থাকতে পারবেন দুজন আর একাদশে খেলতে পারবেন একজন বিদেশি। প্রথম ম্যাচে তানভির বদলি হিসেবে মাঠে নেমেছিলেন সাবিনা। ক্ষণিকের সুযোগেই বাজিমাত। সে ম্যাচের পরে আর পেছনে ফিরে তাকাতে হয়নি সাবিনাকে। পরের পাঁচটি ম্যাচেই একাদশে খেলেছেন। চারটি ম্যাচে তো গোল করে দলকে এনে দিয়েছেন জয়। এর মধ্যে আছে টানা জোড়া গোলও। এমন স্ট্রাইকারকে বসিয়ে রাখার সাধ্য আছে কার! তাই আর তানভির মাঠে নামার সুযোগ হয় না। ইতোমধ্যে ক্লাব ছেড়ে দিয়েছেন তিনি। সাবিনার কাছে হার মেনে খেলতে না পারলেও মাঠের বাইরে দুজনের খুব ভালো সম্পর্ক। সাবিনাকে বড় সার্টিফিকেটও দিলেন তানভি, ‘একজন সতীর্থ হিসেবে সাবিনা খুবই ভালো। মাঠের বাইরে তার সঙ্গে আমার সম্পর্কটা চমৎকার। ওর খেলার প্রশংসা তো করতেই হয়। সে খুবই মেধাবী এবং অভিজ্ঞ। নিচে নেমে এসে ভালো আক্রমণ তৈরি করতে পারে।’  দিল্লির মেয়ে তানভি ২০১১ সালে ইংল্যান্ডে পাড়ি জমান। টটেনহামের জার্সিতে খেলেন ২০১৩ সালে। টানা দুই মৌসুম ‘স্পার’দের নারী দলে খেলার পর নাম লেখান ফুলহামে। এরইমধ্যে পেয়েও যান ব্রিটিশ নাগরিকত্ব। তাঁকে পেছনে ফেলে যখন একাদশে সুযোগ পাওয়া, তাহলে সাবিনা কি যোগ্যতা রাখে ইংলিশ বা অন্য কোনো ইউরোপিয়ান লিগে খেলার? এ ব্যাপারে তানভি নিঃসন্দেহ, ‘ইংল্যান্ডে খেলার যোগ্যতা রাখে সাবিনা; অবশ্য সে যদি তার খেলার ধরন অনুযায়ী দল পায় এবং সেই দলের সঙ্গে মানিয়ে নিতে পারে।’ এ ব্যাপারে সাবিনা তাঁর পরামর্শ চাইলে সহযোগিতা করতেও রাজি আছেন বলে জানালেন তানভি।