বাংলাদেশের সমান সুবিধা নিয়েই শ্রীলঙ্কায় হাথুরু

429

কদিন আগে শ্রীলঙ্কার ক্রীড়ামন্ত্রী দয়াসিরি জয়াসেকারা জানিয়েছিলেন, বাংলাদেশে লোভনীয় অঙ্কের বেতনের চাকরি ছেড়ে শুধু ‘দেশপ্রেমে উদ্বুদ্ধ’ হয়েই স্বদেশে ফিরে যাচ্ছেন চন্ডিকা হাথুরুসিংহে। শ্রীলঙ্কায় ‘তুলনামূলক কম বেতনে’ কাজ করতে নাকি রাজি হাথুরু।
এটা যখন বাংলাদেশ দলের এক সিনিয়র খেলোয়াড়কে বলা হলো, তিনি তো হেসেই বাঁচেন না! রসিকতার সুরে বললেন, ‘যিনি গত তিন বছরে এক কাপ কফিও খাওয়াননি আমাদের, তিনি কিনা কম টাকায় রাজি হবেন চাকরি করতে!’ রসিকতা করে বললেও বাংলাদেশের সেই সিনিয়র ক্রিকেটার সত্যি কথাটাই বলতে চেয়েছেন। বাংলাদেশ থেকে কম বেতনে তিনি শ্রীলঙ্কার কোচ হচ্ছেনÑএটা সত্য নয়।
পেশাদার কোচ হিসেবে হাথুরু নিজেকে আবেগের ঊর্ধ্বে রাখার কথাই বলেছেন সব সময়। হঠাৎ বেশি বেতনের চাকরি ছেড়ে কম টাকায় শ্রীলঙ্কার কোচ হওয়ার মতো আবেগ হাথুরু দেখাবেনÑএমন মানুষ যে তিনি নন, জাতীয় দলের সেই সিনিয়র ক্রিকেটার বোঝাতে চেয়েছেন সেটিই।
হাথুরু বাংলাদেশে মাসে ২৫ হাজার ৮০০ ডলার পেতেন। টাকায় যেটি ২১ লাখ ৭৩ হাজার। বছরে ২ কোটি ৬০ লাখ টাকা। ক্রিকেট ওয়েবসাইট ক্রিকবাজ জানিয়েছে, শ্রীলঙ্কায় তিনি পাবেন বছরে ৩ লাখ ডলারের প্যাকেজ। টাকার অঙ্কে আড়াই কোটি, শ্রীলঙ্কার ক্রিকেট ইতিহাসে যেটি সর্বোচ্চ।
হাথুরুকে পেতে আরেকটু ত্যাগ স্বীকার করতে হচ্ছে শ্রীলঙ্কা ক্রিকেটকে (এসএলসি)। চুক্তি অনুযায়ী, তিন মাসের নোটিশ পিরিয়ডে শ্রীলঙ্কান কোচ বিসিবিকে তাঁর পদত্যাগের কথা জানিয়েছেন গত ১৫ অক্টোবর। নোটিশ পিরিয়ড শেষ হবে আগামি ১৫ জানুয়ারি। কিন্তু এসএলসি তাঁকে চাচ্ছে আরও আগে। যেহেতু জানুয়ারিতে বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজ আছে শ্রীলঙ্কার, হাথুরুর জন্য এক মাসের ক্ষতিপূরণ দিতেও রাজি তারা।
এ সপ্তাহের শুরুতে সিডনি থেকে কলম্বোয় এসে পৌঁছেছেন হাথুরু। শ্রীলঙ্কার সঙ্গে চুক্তি চূড়ান্ত করতে দুই দফা বৈঠকও করেছেন বোর্ডের শীর্ষ কর্তাদের সঙ্গে।