বলিউডের ভাইজান সালমান খান ৬০-এ পা দিলেন

আজ বলিউডের ভাইজান সুপারস্টার সালমান খানের ৬০তম জন্মদিন। তিন দশকের বেশি সময় ধরে পর্দায় রোমান্স আর অ্যাকশনের মাধ্যমে দর্শকদের মন জয় করে চলেছেন এই তারকা। তবে এই দীর্ঘ পথ মোটেও সহজ ছিল না তার জন্য। কখনো আকাশছোঁয়া সফলতা, আবার চরম ব্যর্থতা; প্রেম-বিরহ, বিতর্ক, আইনি জটিলতা আর সাম্প্রতিক প্রাণনাশের হুমকি মিলিয়ে সালমানের জীবন পর্দার নায়কের থেকে কম কিছু নয়। তরুণীদের কাছেও সমান জনপ্রিয় ৬০ বছরের এই ‘ব্যাচেলর’। ছবি হিট হোক বা ফ্লপ, তা তার তারকাখ্যাতিকে প্রভাবিত করে না। কারণ, তিনি সবার আদরের ‘ভাইজান’। ১৯৬৫ সালে মধ্যপ্রদেশের ইন্দোরে জন্মগ্রহণ করলেও মুম্বাইতে সালমানের বেড়ে ওঠা। তার বাবা সেলিম খান হিন্দি ছায়াছবির দুনিয়ার খ্যাতনামা চিত্রনাট্যকার। সিনেমার আবহে ভাইজানের বেড়ে ওঠা। তবে সালমানের জীবনে তার পরিবার সবকিছু। সালমানের পারিবারিক মূল্যবোধ গভীর। ১৯৮৮ সালে ‘বিবি হো তো অ্যায়সি ছবির মাধ্যমে বলিউডে অভিষেক হয়েছিল সালমান খানের। ঠিক তার পরের বছর ‘ম্যায়নে প্যায়ার কিয়া’ ছবিতে ‘প্রেম’ রূপে ঝড় তুলেছিলেন তিনি। রোমান্টিক নায়ক হিসেবে রাতারাতি হয়ে উঠেছিলেন তারকা। ‘সাজন’, ‘হাম আপকে হ্যায় কৌন’সহ একাধিক সফলতার কাহিনি লিখেছেন তিনি। মাঝে একের পর এক ফ্লপের ধাক্কায় তার ক্যারিয়ার প্রায় ডুবতে বসেছিল। ২০০৯ সালে ওয়ান্টেড সিনেমায় অ্যাকশন হিরো রূপে ধরা দেন সালমান। সালমানের ক্যারিয়ারের আবার মোড় ঘুরিয়ে দেয় ‘তেরে নাম’ ছবিটি। এরপর পর্দায় তার উপস্থিতি মানেই বক্স অফিসে ঝড়। কখনো ‘বজরঙ্গি ভাইজান’ হয়ে, কখনো ‘সুলতান’ রূপে, ‘চুলবুল পান্ডে’র ভূমিকায়, আবার ‘টাইগার’ হয়ে সালমান নয় থেকে নব্বই বয়সীর মন জয় করে এসেছেন। ইদানীং অবশ্য তার ছবি বক্স অফিসে সেভাবে সফলতা পাচ্ছে না। কিন্তু আজও সালমানের জনপ্রিয়তা এতটুকু কমেনি। দীর্ঘ অভিনয়জীবনে বারবার প্রেমে পড়েছেন সালমান। আর তার সব প্রেমকাহিনিকে ঘিরে জন্ম নিয়েছে হাজারো বিতর্ক। সাবেক বিশ্বসুন্দরী ও অভিনেত্রী ঐশ্বরিয়া রাই বচ্চনের সঙ্গে তার সম্পর্ক বলিউডের প্রেমের ইতিহাসে অন্যতম এক বিতর্কিত অধ্যায়। এরপর অভিনেত্রী ক্যাটরিনা কাইফের সঙ্গে তার ঘনিষ্ঠতা নিয়ে বলিউডের অলিগলিতে ছিল নানা গুঞ্জন। এদিকে রোমানীয় শিল্পী ইউলিয়া ভানতুরকে ঘিরে সালমানের রোমান্সের খবর পেজথ্রিতে উঠে আসত প্রায়ই। বিয়ের প্রসঙ্গ সাধারণত এড়িয়ে চলেন সালমান। অনেক সময় রসিকতা করে এই সুপারস্টার বলেছেন, ‘ভাগ্যই সব ঠিক করে। বাইরে থেকে কঠিন মনে হলেও মানসিক দিক থেকে নরম মনের সালমান। তাই কারও বিপদ দেখলে ঝাঁপিয়ে পড়েন তিনি। প্রায়ই উঠে আসে তার সমাজসেবামূলক কাজের নানা কাহিনি।