বর্তমান ব্যস্ততা নাটকে

499

এ সময়ের জনপ্রিয় মডেল ও অভিনেতা আবদুন নুর সজল। টিভি নাটকের পাশাপাশি অভিনয় করেছেন চলচ্চিত্রেও। তবে তার বর্তমান ব্যস্ততা নাটককে ঘিরেই। আসন্ন কোরবানির ঈদ উপলক্ষে প্রচুর কাজ করছেন এই সুদর্শন অভিনেতা। সব মিলিয়ে কেমন আছেন তিনি জানতে চাইলে বলেন, বেশ ভালো। কাজের মধ্য দিয়ে সময় পার করছি। ব্যস্ততা কি নিয়ে? তিনি বলেন, অবশ্যই নাটক নিয়ে। এবার ঈদে আমার অভিনীত বেশ উল্লেখযোগ্য সংখ্যক নাটক প্রচার হবে। তার মধ্যে রয়েছে ফেরদৌস হাসানের ‘বলা না বলা কথা’, শ্রাবণী ফেরদৌসের ‘চেনা অচেনা’, সীমান্ত সজলের ‘ঘটনাগুলি কাল্পনিক’, মাহমুদ দিদারের ‘উড়ে যাওয়ার কাল’ ও রুমান রুনির ‘অন্ধজনে অন্ধক্ষণে’। এ ছাড়া সজল এবার ঈদের জন্য অভিনয় করেছেন চয়নিকা চৌধুরীর ‘কে তুমি অপরাজিতা’, পারভেজ আমিনের ‘কুয়াশার ভিতরে একটি মৃত্যু’, রাখাল সবুজের ‘আশালতা’, তপু খানের ‘মৃদু মন্দ ভালোবাসা’ আর ফেরদৌস হাসানের ৭ পর্বের আরেকটি ধারাবাহিকসহ আরো কিছু নাটকে। নাটকের পাশাপাািশ এ যাবৎ চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছেন সজল। সামনে নতুন কোনো ছবিতে কাজ করছেন কি না জানতে চাইলে বলেন, আপাতত ছবি নিয়ে কিছু বলতে চাই না। তবে একটা ছবির কাজ হবে সামনে। তখন জানতে পারবেন। অভিনয়কে নিয়তই সযতনে হৃদয়ে লালন করেন সজল। গভীর আনন্দ আস্বাদন করেন চরিত্রের মাঝে নিজেকে ডুবিয়ে দিয়ে। তার কাছে প্রশ্ন ছিল- এ যাবৎ আপনাকে বেশিরভাগ নাটকে রোমান্টিক চরিত্রে দেখা গেছে? আসলে অন্য ধরনের চরিত্রের প্রতি আপনার আগ্রহ কম নাকি অন্য কিছু? সজল বলেন, প্রত্যেক অভিনয় শিল্পীই চরিত্রের ভিন্নতা খোঁজেন। আর যে ধরনের চরিত্রে একজন শিল্পীকে বেশি ভালো লাগে, দর্শকরা সেভাবেই তাকে দেখতে চান। প্রসঙ্গ টেনে তিনি বলেন, কৌশিক শংকর দাশের একটি নাটকে নন-রোমান্টিক নেগেটিভ একটি চরিত্রে কাজ করেছিলাম। দর্শকরা সেই চরিত্রে আমাকে গ্রহণ করেনি। তবে এবার আমি আমার নিয়মিত ধারা ভেঙে বেশ কিছু নন-রোমান্টিক চরিত্রে অভিনয় করেছি। এর মধ্যে ‘রূপের গন্ধে অন্ধ চাতক’ নামের একটি নাটকে আমার চরিত্র ভিক্ষুকের। ‘মহিষাল’ নাটকে আমি মহিষের গাড়ি চালক। আর ‘উড়ে যাওয়ার কাল’-এ আমাকে দেখা যাবে শিক্ষকের চরিত্রে। এ ছাড়া এবারের ঈদের অন্য সব নাটকেও ভিন্ন ভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করবো। অভিনয়ের বাইরে অন্য কিছু করছেন কি না জানতে চাইলে এ অভিনেতা বলেন, আমি মাত্র হাতেগোনা পাঁচ মাস (দুই ঈদের মধ্যবর্তী সময়) কাজ করি। এর বাইরে পারিবারিক ব্যবসা (শিপিং) দেখাশোনা করি। সবশেষে তার কাছে প্রশ্ন ছিল- আপনার বয়স তো এখন ৩৭ চলছে। বিয়ে করছেন কবে? সজল হেসে বলেন, বিষয়টা ভাগ্যের উপরই ছেড়ে দিয়েছি। ভাগ্যই ঠিক করে দেবে কবে এবং কাকে বিয়ে করবো।