উল্লেখ্য, গত ২১ ফেব্রুয়ারি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে বসুন্ধরা টিস্যু “বর্ণমালা চ্যালেঞ্জ” প্রতিযোগিতার আয়োজন করে। এই প্রতিযোগীতায় ১৫ সেকেন্ডের মধ্যে “ক থেকে চন্দ্রবিন্দু” পর্যন্ত সবকটি বর্ণ বলে তা ভিডিও করে ফেসবুকের মাধ্যমে জমা দিতে বলা হয়। এতে প্রায় লক্ষাধিক প্রতিযোগী অংশগ্রহণ করে। সবার মধ্যে চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে প্রথম স্থান অধিকার করে নোশিন ফেরদৌস লাবণ্য।
এ ব্যাপারে মেয়ের পুরস্কার গ্রহণের পর ফেসবুক পাতায় এক প্রতিক্রিয়ায় লাবণ্যের বাবা হাসিব হোসেন বলেন-মেয়ের সাফল্যে সব বাবাই খুশি হয়। আমার মেয়ে নোশিন ফেরদৌস লাবণ্য জাতীয় পর্যায়ের “বর্ণমালা চ্যালেঞ্জ” প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছে। তাইতো আমারও অনেক অনেক ভালো লাগছে, তবে একটু খারাপও লাগছে। কারণ, সে নিজে উপস্থিত হয়ে পুরস্কারটা নিতে পারেনি, পুরস্কারটা নিতে হয়েছে আমাকে। ওর জন্য দোয়া করবেন ও যেন সুস্থ প্রতিযোগিতার মধ্যদিয়ে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে এবং মানুষের মত মানুষ হয়।
এদিকে নিজে পুরস্কার গ্রহণ করতে না পারলেও বাবা গ্রহণ করায় অনেক খুশি লাবণ্য। সে এক প্রতিক্রিয়ায় গৌড় বাংলাকে জানায়, আমেরিকা, ভারতসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশে এ ধরণের প্রতিযোগিতা হয়। আমাদের দেশে সচারচর চোখে পড়ে না। তা ছাড়া আজকাল অনেকেই মাতৃভাষার চেয়ে ইংরেজিতে কথা বলতেই বেশি পছন্দ করেন, অনেকেই ইংরেজি বর্ণমালা একনাগাড়ে বলতে পারলেও মায়ের ভাষার বর্ণমালা হয়ত বলতে পারবেন না। তাই প্রতিযোগিতার বিষয়টি আমার মনকে নাড়া দেয় এবং আমি কোন কিছু না ভেবেই অংশগ্রহণ করি। তবে পুরস্কার পাবো এটা ভাবিনি, তাও আবার প্রথম পুরস্কার। আমার জন্য সবাই দোয়া করবেন।