বদলে গেলো অলিম্পিকে মেডেল প্রদানের চিরাচরিত রীতি

125

করোনাভাইরাস পরিস্থিতিতে নানা বিধিনিষেধ আর কড়াকড়ির মধ্যে শুরু হতে যাচ্ছে টোকিও অলিম্পিক। আগামী ২৩ জুলাই উঠবে এই আসরের পর্দা। জাপানে করোনার সংক্রমণ তীব্র হওয়ায় ৩৩৯টি ইভেন্টের সবগুলো হবে দর্শকশূন্য স্টেডিয়ামে। অ্যাথলেট ও কর্মকর্তাদের পরে থাকতে হবে মাস্ক। এবার বদলে ফেলা হলো মেডেল প্রদানের চিরাচরিত প্রথাও।

সাধারণত আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির কোনও সদস্য কিংবা কোনও উচ্চপর্যায়ের ক্রীড়া সংগঠনের কর্মকর্তারা বিজয়ী অ্যাথলেটদের মেডেল দিয়ে থাকেন। এবার আর তা হচ্ছে না। অ্যাথলেটদের কেউ মেডেল পরিয়ে দেবেন না, নিজেরাই নিজেদের গলায় মেডেল পরবেন।

আন্তর্জাতিক অলিম্পিক কমিটির সভাপতি টমাস বাখ গতকাল জানান, ‘অ্যাথলেটদের গলায়ে এবার মেডেল পরানো হবে না। ট্রেতে করে তাদের সামনে মেডেলগুলো দেওয়া হবে এবং তারা নিজেরাই সেগুলো পরবেন। যে ব্যক্তি ট্রেতে মেডেলগুলো রাখবেন, তিনি যেন সেগুলো রাখার আগে জীবাণুমুক্ত গ্লাভস পরে রাখেন তা নিশ্চিত করা হবে। তাতে করে অ্যাথলেটরা আশ্বস্ত থাকবেন যে তাদের আগে অন্য কেউ মেডেল স্পর্শ করেননি।’

কদিন আগে শেষ হওয়া ইউরোর ফাইনালে ফুটবলারদের নিজ হাতে মেডেল পরান উয়েফার সভাপতি আলেক্সান্দ্রে সেফেরিন। চ্যাম্পিয়ন ইতালির গোলকিপার দোনারুম্মার সঙ্গে হাত মেলাতেও দেখা যায় তাকে। একইভাবে কোপা আমেরিকাতেও মেডেল দেওয়া হয়েছে মেসি-নেইমারদের। তবে এসবের কিছুই থাকছে না অলিম্পিকে। বাখ বলেছেন, ‘কেউ হাত মেলাতে পারবেন না এবং কাউকে জড়িয়ে ধরা যাবে না।’

একে তো দর্শকশূন্য স্টেডিয়াম, আরেক দিকে মেডেলটাও নিজে নিজে পরতে হবে। এক নিরস অলিম্পিকই হয়তো হতে যাচ্ছে এবার।