ফ্রিল্যান্সিংয়ের ওপর গুরুত্বারোপ জেলা প্রশাসক গালিভ খাঁনের

104

পাইনবাবগঞ্জে ডিজিটাল সেন্টারের ১ যুগপূর্তি উপলক্ষে ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের নিয়ে কর্মশালা অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ সকালে জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে জেলা প্রশাসন এই কর্মশালার আয়োজন করে।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জেলা প্রশাসক এ কে এম গালিভ খাঁন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তাদের উদ্দেশ্যে বলেছেন, সরকার ডিজিটাল সেন্টার চালু করায় আপনারা রাষ্ট্রের কোটি কোটি টাকা বাঁচিয়েছেন, জনগণকে সেবা দিয়েছেন, তাদের মূল্যবান সময় বাঁচিয়েছেন। অনেক চ্যালেঞ্জ থাকার পরও আপনারা নিরলসভাবে সেবা প্রদান করছেন, এ জন্য আপনাদের ধন্যবাদ জানাই।
জেলা প্রশাসক বলেন- মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে অদম্য অগ্রযাত্রায় বাংলাদেশ এগিয়েছে চলেছে। ২০৩১ সালের মধ্যে টেকসই উন্নয়ন অভীষ্ট অর্জন, ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত স্মার্ট বাংলাদেশ এবং ২১০০ সালের ডেল্টা প্ল্যান বাস্তবায়নের লক্ষে কাজ চলছে। এখন বসে থাকার সময় নয়, এখন কাজ করার সময়। তিনি বলেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দর্শন গ্রামীণ জনপদ এবং প্রান্তিক মানুষের অন্তর্ভুক্তি ছাড়া দেশের উন্নয়ন সম্ভব নয়। তাই তিনি যাদের মাথা গোঁজার ঠাঁই ছিল না, যারা রাস্তায় থাকতেন তাদেরকে সারাদেশের মতো আশ্রয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে চাঁপাইনবাবগঞ্জ জেলায় ৪ হাজার ৫৮৯ জন ভূমিহীন ও গৃহহীন মানুষকে ২ শত করে জমি দিয়ে গৃহ নির্মাণ করে দিয়েছেন। সেই সঙ্গে পানি, বিদ্যুৎসহ রাস্তাঘাটের ব্যবস্থা করে দিয়ে দিয়েছেন। বাড়ির আঙিনায় শাক-সবজি চাষের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাদেরকে উন্নত জীবনযাপনের ব্যবস্থা করে দিয়েছেন। তাদেরকে অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের মূল ধারায় নিয়ে এসেছেন। এটি বিশ্বের কোথায় নজির নেই। জেলা উদ্যোক্তাদের প্রতিদিনের করণীয় এবং তাদের জন্য জেলা প্রশাসন ঘোষিত পুরস্কারের বিষয় তুলে ধরে বলেন- ডিজিটাল সেন্টারে বসে গতানুগতিক কাজগুলোর পাশাপাশি ফ্রিল্যান্সিং করে আয় বাড়াতে হবে। এজন্য কাজ শিখতে হবে।
জেলা প্রশাসনের স্থানীয় সরকার শাখার উপপরিচালক দেবেন্দ্র নাথ উরাঁওয়ের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত কর্মশালা সঞ্চালনা করেন- অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) আনিছুর রহমান। আলোচনায় অংশ নেনÑ বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট আব্দুস সামাদ, জেলা সমাজসেবা কার্যালয়ের উপপরিচালক উম্মে কুলসুম, জেলা মহিলা বিষয়ক অধিদপ্তরের উপপরিচালক সাহিদা আখতার, ব্যাংক এশিয়ার জেলা ম্যানেজার আতিকুর রহমান। কর্মশালায় উদ্যোক্তারা তাদের বিভিন্ন সমস্যার কথা তুলে ধরেন।
ইউনিয়ন ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তারা, কম্পিউটার কম্পোজ, ইমেইল, ইন্টারনেট, ছবি তোলা, কম্পিউটার প্রশিক্ষণ, বিভিন্ন সরকারি ফরম, জমির খতিয়ানের জন্য আবেদন ও সরবরাহ, মোবাইল ব্যাংকিং, ফটোকপি, জীবন বীমা, প্লাস্টিক আইডি কার্ড, ছাপার কাজ, বিদ্যুৎ বিল গ্রহণসহ অন্য সেবা প্রদান করে থাকেন।