ফেইস আইডির নিরাপত্তায় ব্যাখ্যা অ্যাপলের

466

আইফোন ঢ-এ ফেইস আইডি বায়োমেট্রিক নিরাপত্তা ব্যবস্থা নিয়ে ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তার বিষয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যাপল প্রধান টিম কুক-কে চিঠি দিয়েছিলেন একজন মার্কিন সিনেটর। এবার ওই চিঠির জবাবে ফেইস আইডি’র বিল্ট-ইন নিরাপত্তা ফিচারগুলো বিস্তারিত বর্ণনা করেছে অ্যাপল।
চলতি বছর সেপ্টেম্বরে মার্কিন সিনেটর আল ফ্রাঙ্কেন প্রাইভেসি আর নিরাপত্তা নিয়ে তার উদ্বেগ প্রকাশ করে অ্যাপলের কাছে একটি চিঠি লেখেন। এতে তিনি বলেন, তাকে “অ্যাপলের যে ব্যবস্থা আরোপে পদক্ষেপ নেওয়ার কথা বলেছে তা উৎসাহিত করেছে।” কিন্তু এ ক্ষেত্রে “এই প্রযুক্তি বিভিন্ন শ্রেণির মানুষের ক্ষেত্রে সমানভাবে কাজ করবে কিনা” তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন তিনি।
সেইসঙ্গে “অ্যাপল নিজেও সংগৃহিত ডেটা তাদের ব্যবসায়ের অন্যান্য খাতে ব্যবহার করতে পারে, নজরদারিমূলক কাজে তৃতীয় পক্ষের কাছে বিক্রি করতে পারে বা আইনশৃংখলা প্রণয়নকারী সংস্থাগুলোকাছ থেকে ফেসিয়াল রিকগনিশন ব্যবস্থা অ্যাকসেসের অনুরোধ পেতে পারে” বলেও উদ্বেগ প্রকাশ করেন ডেমোক্রেটিক দলের এই সিনেটর।
চলতি বছর ১৩ অক্টোবরের মধ্যে কুক-কে এই চিঠির জবাব দিতে বলেছিলেন ফ্রাঙ্কেন।
মঙ্গলবার অ্যাপলবিষয়ক সাইট অ্যাপলইনসাইডার-এর প্রতিবেদনে বলা হয়, ফ্রাঙ্কেন-এর উদ্বেগের বিষয়ে অ্যাপলের জন নীতিমালাবিষয়ক ভাইস প্রেসিডেন্ট সিনথিয়া হোগান স্পষ্ট ব্যাখ্যা দিয়েছেন।
হোগান বলেন, “ফেইস আইডি একটি বিকল্প চেহারার উপস্থিতি (স্থির দৃষ্টি শনাক্তের মাধ্যমে) নিশ্চিত করে আর একজন ব্যবহারকারীর চেহারার থ্রিডি ম্যাপ ধারণ করে এবং এই তথ্য প্রক্রিয়ায় জন্য সিকিওর এনক্লেইভ-এ পাঠায়।”
“ফেইস আইডি ডেটার মধ্যে একজন ব্যবহারকারীর চেহারার একটি গাণিতিক প্রতিলিপি থাকে, এটি এনক্রিপ্টেড আর কখনও ডিভাইস ছেড়ে যায় না।”
“সিকিওর এনক্লেইভ-এর পাঠানো ডেটা অ্যাপলে পাঠানো হয় না বা ডিভাইসের ব্যাকআপে রাখা হয় না।”
অ্যাপলের এই জবাব নিয়ে একটি বিবৃতি দিয়েছেন ফ্রাঙ্কেনও। তিনি বলেন, “আমার কার্যালয়ের সঙ্গে আর এই বিষয়গুলো নিয়ে সম্পৃক্ত হওয়া নিয়ে অ্যাপলের ইচ্ছাকে আমি সাধুবাদ জানাই।