বার্সেলোনার পরবর্তী মেসি বলা হচ্ছে তাকে। আফ্রিকান দেশ গিনি বিসাউয়ে জন্ম নেয়া ১৬ বছর বয়সী তরুণ ফুটবলার আনসু ফাতিকে নিয়ে ইতিমধ্যেই বার্সেলোনা তথা স্পেনজুড়ে তোলপাড় শুরু হয়ে গেছে।
কি এক প্রতিভা তার মধ্যে লুকিয়ে। যাকে মেসি নিজে বলছেন, তার মত করেই গড়ে তুলতে চান! শুধু তাই নয়, নিজের মত প্রতিভাই এই আফ্রিকান কৃষ্ণাঙ্গ ফুটবলারটির মধ্যে দেখতে পেয়েছেন মেসি এবং এ কারণেই তাকে মেসি নিজে চেয়েছেন, বার্সার সিনিয়র দলে টেনে আনতে।
বার্সার হয়ে গেটাফের বিপক্ষে যেদিন আনসু ফাতরি অভিষেক হয়েছিল, সেদিন ড্রেসিং রুমে এসে উঠতি এই তারকাকে নিজের বুকে জড়িয়ে নিয়েছিলেন মেসি। ওই ম্যাচে ইনজুরির কারণে খেলতে পারেননি মেসি নিজে। এরপর আনসু ফাতি মাঠে নামা মানেই একরাশ বিস্ময়। সবার মুখেই ঝরছে তার প্রশংসাস্তুতি। সবাই বলছে, আগামী দিনের মেসিকে পেয়ে গেলো বার্সা।
মাত্র ৬ বছর বয়সে বাবা-মা’র সঙ্গে গিনি বিসাউ থেকে স্পেনে এসে বসবাস শুরু করে আনসু ফাতি। এরপর ১০ বছর বয়সে যোগ দেয় বার্সার ফুটবল অ্যাকাডেমি লা মাসিয়ায়। সেখানেই গত ৬ বছর ধরে বেড়ে উঠছেন আগামী দিনের দুনিয়া কাঁপানো ফুটবলার আনসু ফাতি।
ইতিমধ্যেই তাকে নিয়ে তোলপাড়। এ কারণে স্পেন ফুটবল ফেডারেশন তড়িগড়ি করে তাকে নাগরিকত্ব দিয়ে নিজেদের কাছে রেখে দেয়ার বন্দোবস্ত করে ফেলেছে। অর্থ্যাৎ নিজের দেশ গিনি বিসাউ নয়, আনসু ফাতি এখন খেলবেন স্পেনের হয়ে, স্পেনের নাগরিক হিসেবেই।
ফিফা দ্য বেস্ট প্লেয়ারের পুরস্কার নিতে গিয়ে ফিফা ম্যাগাজিনের সঙ্গে প্রাণখুলে কথা বলেছেন মেসি। সেখানেই উঠে এলো আনসু ফাতি প্রসঙ্গ এবং এই প্রসঙ্গে বলতে গেলে স্বপ্রনোদিত হয়েই কথা বলছেন বিশ্বের সেরা ফুটবলার লিওনেল মেসি।
মেসি নিজেই জানালেন, আনসু ফাতিকে দলে নেয়ার জন্য চেয়েছেন তিনি নিজেই। মেসি নিজেই জানিয়ে দিলেন, বার্সেলোনার মত ক্লাবের হাল ধরার মত ফুটবলার আনসু ফাতি। আর্জেন্টাইন এই তারকার বিশ্বাস, আনসু ফাতি সময়ের সঙ্গে সঙ্গে আরও বড় ফুটবলারে পরিণত হবে।
মেসি বলেন, ‘আমি তাকে (ফাতি) খুব পছন্দ করি। তাকে সব সময় সহযোগিতা করার চেষ্টা করি এবং সব সময় সমর্থন করে যাচ্ছি। সে দুর্দান্ত এক ফুটবলার। আমি মনে করি বার্সেলোনার সাফল্যের পতাকা বয়ে নিয়ে যাওয়ার মত ফুটবলার সে।’
নিজের উদাহরণ দিয়েই মেসি বলেন, ‘বার্সেলোনার লা মাসিয়া থেকে আমি যেভাবে বেড়ে উঠেছি, আমি চাই তাকেও বার্সেলোনা সেভাবে গড়ে তুলুক, ঠিক আমার মতই। এখনও পর্যন্ত যা হয়েছে তা খুবই সঠিকভাবে হয়েছে এবং খুব শান্তভাবে। ছোট ছোট করে, কোনো চাপ ছাড়াই।’
আনসু ফাতির প্রতি এখনই খুব যত্নবাহ হওয়ার পরামর্শ দেন মেসি। তিনি বলেন, ‘আমাদের ভুলে যাওয়া উচিৎ নয় যে সে মাত্র ১৬ বছর বয়সী। তাকে ফুটবলটা উপভোগ করতে দেয়া প্রয়োজন। আর এটা নিশ্চিত করা দরকার, তার পাশে যেন খুব বেশি ভিড় না করা হয়, যাতে সেটা তার ফুটবল ক্যারিয়ারকে ক্ষতিগ্রস্থ করে। কারণ, সেরাদের মধ্যে সেরা হওয়ার মত যোগ্যতা রয়েছে তার মধ্যে।’