ফাঁস হলো সোলাইমানি হত্যার সময় মার্কিন বাহিনীর তোলা ছবি

150

ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পস-এর কুদস ফোর্সের প্রধান লেফটেন্যান্ট কাসেম সোলামানিকে বাগদাদ বিমানবন্দরের বাইরে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যা করা হয়। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের নির্দেশে সোলাইমানিকে হত্যার ঘটনায় এরই মধ্যে ওয়াশিংটন ও তেহরানের মধ্যে উত্তেজনা চরমে উঠেছে।

ফক্স নিউজের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, অ্যামেরিকান স্পেশাল অপারেশন্স ফোর্সের সদস্যরা ড্রোন হামলা চালিয়ে কাসেম সোলাইমানিকে হত্যার সময় তার কনভয়ের মাত্র অর্ধ-মাইল দূরে ছিল।

মার্কিন গণমাধ্যমগুলোর খবরে বলা হয়, ঘটনার এক-দুই মিনিটের মধ্যেই বোমার আঘাতে ক্ষয়ক্ষতি পর্যবেক্ষণ করতে মার্কিন বাহিনী ঘটনাস্থলে পৌঁছেছিল। ওই সময় হামলার ক্ষতি মূল্যায়নের জন্য ছবিও তুলেছে। এমনকি সঠিক গাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে কিনা, সেটাও নির্ণয় করা হয়।

ছবিতে দেখা যায়, আগুনে পুড়ছে সোলামানিকে বহনকারী গাড়ি। এমনকি সোলাইমানিও দেহও জ্বলন্ত গাড়ির পাশেই পড়েছিল। আর সোলাইমানির দেহের পাশেই পড়েছিল তার ব্যবহৃত মানিব্যাগ, কবিতার বই।

যুক্তরাষ্ট্রের সরকারি কর্মকর্তাদের কাছ থেকে ওই ঘটনার ঠিক পরক্ষণেরই ছবি পেয়েছে ফক্স নিউজ। কাসেম সোলাইমানির ছিন্নভিন্ন দেহেরও ছবি পাওয়া গেছে মার্কিন কর্মকর্তাদের কাছ থেকে। সোলাইমানিকে বহনকারী গাড়ির জ্বলন্ত ছবিও রয়েছে।

ফক্স নিউজে কোনো সূত্র উল্লেখ না করে বলা হয়েছে, ইরানের রেভ্যুলেশনারি গার্ড কর্পসের এলিট কুদস ফোর্স সেখানকার আগুন নিভিয়ে সোলাইমানির দেহ ঘটনাস্থল থেকে কিছুটা সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার আগেই তার মরদেহ সনাক্ত করে যুক্তরাষ্ট্রের স্পেশাল ফোর্স ।

৩ জানুয়ারি সোলাইমানিকে বাগদাদে ড্রোন হামলা চালিয়ে হত্যার ঘটনায় হুকুমদাতা হিসেবে নিজের নাম জোর দিয়ে প্রকাশ করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে তেহরান ওই হামলাকে সন্ত্রাসবাদী হিসেবেই দেখছে।