‘প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের কলরেট কমানো যেতে পারে’

248

প্রয়োজনে মোবাইল ফোনের কলরেট কমানো যেতে পারে বলে জানিয়েছেন ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। তিনি জানান, মোবাইলে ফোনের কলরেটের সর্বনিম্ন অবস্থানের দিক থেকে বাংলাদেশের অবস্থান দ্বিতীয়। বর্তমানে সর্বনিম্ন ২৫ পয়সা থেকে সর্বোচ্চ দুই টাকা কলরেট নির্ধারিত রয়েছে। আজ মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে প্রশ্নোত্তর পর্বে এসব কথা বলে প্রতিমন্ত্রী। স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এ-সংক্রান্ত প্রশ্নটি উত্থাপন করেন সরকারি দলের সদস্য দিলারা বেগম। লিখিত জবাবে তিনি জানান, প্রতিযোগিতামূলক মার্কেটে মোবাইল কম্পানিগুলো নির্ধারিত কলরেটের মধ্যেই তাদের ব্যবসা পরিচালনা করে। পার্শ্ববর্তী দেশসমূহের তুলনায় এটি যথেষ্ট কম। তিনি জানান, বর্তমানে দেশে মোবাইল ফোনের গ্রাহক সংখ্যা ১৩ কোটি ৩১ লাখ ১৪ হাজার ২০৬ এবং ইন্টারনেট গ্রাহক সংখ্যা সাত কোটি ৭৭ হাজার ৯৬৯। ন্যাপের আমিনা আহমেদের প্রশ্নের জবাবে টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী জানান, জনগণের কাছে ইন্টারনেট সেবা পৌঁছে দেওয়ার জন্য দুটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানকে নেশনওয়াইড টেলিকমিউনিকেশন ট্রান্সমিশন নেটওয়ার্ক (এনটিটিএন) লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে। প্রতিষ্ঠান দুটি হচ্ছে ফাইবার অ্যাট হোম লিমিটেড ও সামিট কমিউনিকেশন লিমিটেড।

সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে গ্রামীণফোন
চলতি অর্থবছরে মোবাইল ফোন কস্পানিগুলোর মধ্যে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ রাজস্ব দিয়েছে বলে জানিয়েছেন প্রতিমন্ত্রী তারানা হালিম। সরকারি দলের সদস্য সুকুমার রঞ্জন ঘোষের প্রশ্নের জবাবে তিনি জানান, চলতি অর্থবছরের ১ জুলাই থেকে ১০ জুন পর্যন্ত সময়ে মোট ৮৫৫ কোটি এক লাখ টাকা রাজস্ব আদায় হয়েছে। এর মধ্যে গ্রামীণফোন সর্বোচ্চ ৪৩০ কোটি ৯৯ লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে। গত অর্থবছরে (২০১৫-২০১৬) প্রতিষ্ঠানটি রাজস্ব দিয়েছিল ৫২৮ কোটি ৮৪ লাখ টাকা।

একই প্রশ্নের জবাবে প্রতিমন্ত্রী সংসদে জানান, চলতি অর্থবছরে রবি আজিয়াটা লিমিটেড ২২১ কোটি ৭০ লাখ টাকা, বাংলালিংক ডিজিটাল কমিউনিকেশন্স লিমিটেড ১৬১ কোটি ৩৬ লাখ টাকা, এয়ারটেল বাংলাদেশ লিমিটেড ১৪ কোটি ৮৬ লাখ টাকা, প্যাসিফিক বাংলাদেশ টেলিকম লিমিটেড ১১ কোটি চার লাখ টাকা এবং টেলিটক বাংলাদেশ লিমিটেড ১৫ কোটি ছয় লাখ টাকা রাজস্ব দিয়েছে।