প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদের বৃত্তি পেলেন ৩ শিক্ষার্থী

চাঁপাইনবাবগঞ্জে ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ’র বৃত্তি পেলেন নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের ৩ শিক্ষার্থী। বৃত্তিপ্রাপ্তরা হলেন—নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ থেকে এইচএসসি পরীক্ষায় এ বছর পাস করা তিন বিভাগের সর্বোচ্চ নম্বরপ্রাপ্ত বিজ্ঞান বিভাগের জীবন কর্মকার, বাণিজ্য বিভাগের রিফাত ইয়াসমিন ও মানবিক বিভাগের সুবর্ণা নওশীন। প্রত্যেককে নগদ সাত হাজার করে টাকা দেয়া হয়। বৃহস্পতিবার দুপুর ১২টায় নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের এন.এম. খাঁন অডিটোরিয়ামে এ বৃত্তি প্রদান অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। পরিষদের আহ্বায়ক নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজের অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সুলতানা রাজিয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন কলেজটির অধ্যক্ষ আব্দুল আওয়াল। সূচনা বক্তব্য দিয়ে অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন পরিষদের সদস্য সচিব শফিকুল আলম ভোতা। অন্যদের মধ্যে বক্তব্য দেন— সাবেক জজ গোলাম মুরশেদ, সোনালী ব্যাংকের অবসরপ্রাপ্ত সিনিয়র প্রিন্সিপাল অফিসার শরিফুল ইসলাম, পরিষদের কোষাধ্যক্ষ শামসুল হক গানু, নির্বাহী সদস্য রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের নাট্যকলা বিভাগের অধ্যাপক আলমগীর স্বপন, অবসরপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ সাইদুর রহমানসহ বিশিষ্টজনরা। বক্তারা বলেন, প্রফেসর তরিকুল ইসলাম এমন একজন ভালো মানুষ ছিলেন যে, আজও তাঁকে আমরা স্মরণ করি, তাঁকে মনে রেখেছি, ভালোবেসেছি। তাঁর আদর্শ, শিক্ষা, গুণগুলো মনে রাখার জন্য আমরা প্রতিষ্ঠা করেছি ‘প্রফেসর তরিকুল ইসলাম স্মরণ পরিষদ’। নতুন প্রজন্মকে তাঁকে চেনাতে এ পরিষদের উদ্যোগে সাত বছর থেকে দেয়া হচ্ছে শিক্ষাবৃত্তি। বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে দেয়া হয়েছে বইসহ আসবাবপত্র। রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলায় বাবুডাইং আলোর পাঠশালায় নির্মাণ করা হয়েছে একটি পাঠাগারও। দেয়া হয়েছে বইসহ উপকরণ। উল্লেখ্য, প্রফেসর তরিকুল ইসলাম ১৯৬৪ থেকে ১৯৮৮ সাল পর্যন্ত নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজে উদ্ভিদবিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতা করেছেন। এরপর ১৯৯৮ সাল পর্যন্ত তিনি নবাবগঞ্জ সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ পদে কর্মরত ছিলেন। তিনি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার হাতনাবাদ এলাকার বাসিন্দা ছিলেন।