প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে রাজশাহী-কলকাতা (মৈত্রী-৩) যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চূড়ান্ত করার দাবি

263

মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার আসন্ন ভারত সফরের প্রস্তাবিত রাজশাহী-রহনপুর-সিঙ্গাবাদ-মালদহ কলকাতা (মৈত্রী-৩) যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল চূড়ান্ত করার দাবি জানিয়েছেন রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণ। রাজশাহী সদর আসনের সাংসদ ফজলে হোসেন বাদশা গত কয়েক বছর পূর্বে রাজশাহী থেকে রহনপুর- ভারতের সিঙ্গাবাদ ও মালদহ হয়ে কলকাতা যাওয়া একটি যাত্রীবাহী ট্রেন চালু করার দাবি জানান ঢাকাস্থ ভারতীয় হাই কমিশনে। এ বিষয়টি নিয়ে উভয় দেশ বিভিন্ন পদক্ষেপ গ্রহণ করে। সম্প্রতি ঢাকাস্থ ভারতীয় হাইকমিশনার রিভা গাঙ্গুলী বিষয়টির অগ্রগতি হয়েছে বলে জানান। ইতিমধ্যে এ বিষয়ে দুই দেশের রেল কর্তৃপক্ষের সমীক্ষাও সম্পন্ন হয়েছে বলে জানা গেছে। বর্তমানে রহনপুর-সিঙ্গাবাদ রুটে মালবাহী ট্রেন চলাচল চালু রয়েছে। এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চালু হলে রাজশাহী অঞ্চল তথা রাজশাহী, চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার জনসাধারণ সহজেই মালদহ হয়ে নেপাল, কলকাতা সহ ভারতের বিভিন্ন স্থানে যাতায়াত করতে পারবে। ভারতীয় কর্তৃপক্ষ তাদের সীমান্তবর্তী স্টেশন সিঙ্গাবাদ এলাকায় ইতিমধ্যে ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস স্টেশন তৈরির কাজ শুরু করেছে বলে জানা গেছে। এছাড়া বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী স্টেশন রহনপুরে ইমিগ্রেশন কাস্টমস স্টেশন নির্মান করলে এখানে রেলওয়ের পর্যাপ্ত জায়গা রয়েছে। এছাড়া রহনপুর রেল স্টেশনে ওই ট্রেন যাত্রা বিরতি এবং ইমিগ্রেশন ও কাস্টমস সম্পন্ন হলে চাঁপাইনবাবগঞ্জ ও নওগাঁ জেলার জনসাধারণ উপকৃত হবেন। এ রুটে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের জন্য দুই দেশের জনসাধারণ অধীর আগ্রহে অপেক্ষা করছে। বিশেষ করে রাজশাহী অঞ্চলের জনসাধারণের সাথে মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলার জনসাধারণের আত্মীয়তার সম্পর্ক রয়েছে। উভয় দেশের জনসাধারণ যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচলের খবরে আশান্বিত হয়েছেন। এ রুট দিয়ে নেপাল ভারত হয়ে পণ্য পরিবহন করে থাকে। এ রুট দিয়ে যাত্রীবাহী ট্রেন চলাচল শুরু হলে সহজেই নেপাল সহ সমগ্র ভারতে যাতায়াত করা যাবে। ভারতের উত্তর মালদহ এলাকার লোকসভার সদস্য বিজেপির খগেন মুর্মু এ রুট দিয়ে বাংলাদেশের সঙ্গে রেল যোগাযোগ স্থাপনের বিষয়ে কাজ করে যাচ্ছেন বলে জানা গেছে। এ রুটে দ্রুত ট্রেন চলাচল শুরু হলে দুই দেশের ব্যবসা-বাণিজ্য সহ পর্যটন শিল্প বিকাশে যথেষ্ট ভূমিকা রাখবে। প্রধানমন্ত্রীর আসন্ন ভারত সফরে বিষয়টির সুরাহা হওয়া প্রয়োজন বলে এ অঞ্চলের মানুষ মনে করে।