প্রদর্শিত হলো সাবিত্রী

42

বুধবার ২৪ জানুয়ারি বিকাল ৫টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির আর্ট গ্যালারি অডিটরিয়ামে দেখানো হয়েছে সিনেমাটি। মুক্তিযুদ্ধ ও তার পরবর্তী সময়ের কঠিন বাস্তবতাকে ঘিরে নির্মিত হয়েছে চলচ্চিত্র ‘সাবিত্রী’। সরকারি অনুদানে চলচ্চিত্রটি নির্মাণ করেছেন পান্থ প্রসাদ। দেশের সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ চলচ্চিত্র উৎসব ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে চলচ্চিত্রটি। ঢাকা আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবের এবার ২২তম আসর। ২০ জানুয়ারি পর্দা উঠেছে আসরের। রেইনবো ফিল্ম সোসাইটি আয়োজিত এ চলচ্চিত্র উৎসবে ৭৪টি দেশের ২৫০টি চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এর মধ্যে বাংলাদেশ প্যানোরামা বিভাগে প্রিমিয়ার হয়েছে ‘সাবিত্রী’র। সাবিত্রী নামের এক বীরাঙ্গনাকে কেন্দ্র করে এগিয়ে গেছে সিনেমার গল্প। ১৯৭১ সালে যুদ্ধের সময় অনিশ্চয়তার মুখে পড়েছিল সাবিত্রীর জীবন। তেমনি স্বাধীন দেশে যখন যুদ্ধাপরাধীদের বিচার শুরু হয়, তখন তার সাক্ষী হতে গিয়ে সাবিত্রী ও তার যুদ্ধশিশু মঙ্গলকে টিকে থাকার জন্য প্রতিটি মুহূর্ত লড়াই করে যেতে হয়েছে। একাত্তর ও বর্তমান সময়ের মিশেলে সিনেমাটির গল্প লিখেছেন তুষার আবদুল্লাহ। সিনেমাটি প্রসঙ্গে নির্মাতা পান্থ প্রসাদ বলেন, ‘সাবিত্রীর সঙ্গে আমাদের পুরো টিমের অক্লান্ত পরিশ্রম, ঘাম জড়িয়ে আছে। সিনেমাটির কাজ করতে গিয়ে অর্থ সংকটে পড়তে হয়েছিল, তার মধ্যে হানা দিয়েছে করোনা। সবমিলিয়ে কাজটি শেষ করতে সময় লেগে যায়। এ সিনেমায় আমরা দুটি সময়কে পাশাপাশি ধরে গল্প বুনেছি। একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধে নারীর ত্যাগ এবং একুশ শতকে যুদ্ধাপরাধীদের বিচার প্রেক্ষাপটে এক যুদ্ধসন্তান ও তার মায়ের সমাজে টিকে থাকার সংগ্রামের গল্প রূপায়িত হয়েছে সাবিত্রী সিনেমায়। সাবিত্রী’ সিনেমার বিভিন্ন চরিত্রে অভিনয় করেছেন—রোকেয়া প্রাচী, অনন্ত হীরা, বৈশাখী ঘোষ, নার্গিস, সৈকত সিদ্দিকী, শাহরিয়ার বকুল, বৈদ্যনাথ সাহা, শ্যামল, আরতী প্রমুখ। বহতা ফিল্মসের ব্যানারে নির্মিত সিনেমাটির চিত্রগ্রহণ করেছেন—ড্যানিয়েল ড্যানি ও কমল চন্দ্র দাস। সম্পাদনা, শব্দশৈলী ও রঙ বিন্যাস করেছেন সুজন মাহমুদ।