প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না’ জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশন সচিব

249

নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ জানিয়েছেন, ৩০ নভেম্বর প্রতীক বরাদ্দের আগে নির্বাচনী প্রচার চালানো যাবে না। আজ দুপুরে নির্বাচন কমিশন ভবনে এক ব্রিফিংয়ে এ কথা বলেন তিনি। এ সময় হেলালুদ্দীন আহমদ বলেন, প্রতীক বরাদ্দের পর ২১ দিন প্রচার চালাতে পারবেন প্রার্থীরা। অনিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রার্থীরা নিবন্ধিত রাজনৈতিক দলের প্রতীকে নির্বাচন করতে পারবে; এতে আইনগত বাধা নেই বলেও জানান ইসি সচিব। এছাড়া নির্দেশনা মেনে প্রার্থীদের আগামী ৭ দিনের মধ্যে ব্যানার, পোস্টার ও তোরণ নামিয়ে ফেলারও নির্দেশ দেয় কমিশন। নির্দেশ না মানলে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে বলেও জানান তিনি। এদিকে, আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ৩০০ আসনের রিটার্নিং ও সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা নিয়োগ করেছে নির্বাচন কমিশন। গতকাল রাতে নির্বাচন কমিশন সচিব হেলালুদ্দীন আহমদ স্বাক্ষরিত এক প্রজ্ঞাপনে এ তথ্য জানানো হয়। প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে জেলা প্রশাসক ও বিভাগীয় কমিশনারদের নিয়োগ করা হয়েছে। সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা হিসেবে থাকছেন সিনিয়র জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, উপজেলা সহকারী কমিশনার ভূমি, স্থানীয় সরকারের জেলা কালেক্টরেট অফিসের উপ-পরিচালক, অরিতিক্ত জেলা প্রশাসক, থানা নির্বাচন অফিসার, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক সাধারণ, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসকসহ রাজস্ব অন্যান্য সরকারি কর্মকর্তারা। অন্যদিকে, একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে একজন ভোটারের পেছনে সর্বোচ্চ ১০ টাকা খরচ করা যাবে। এমন বিধান রেখে গতকাল রাতে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে নির্বাচন কমিশন। তবে ভোটার সংখ্যা যতই হোক না কেন, প্রার্থীর ব্যয়সীমা ২৫ লাখ টাকার মধ্যেই থাকতে হবে। নিবন্ধিত দলের প্রার্থী হলে দলের অনুদানও এর মধ্যে যুক্ত হবে। আজ নির্বাচন পরিচালনা-২ অধিশাখার যুগ্ম সচিব ফরহাদ আহাম্মদ খান স্বাক্ষরিত এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়। বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়, গণপ্রতিনিধিত্ব আদেশ আরপিও অনুযায়ী মনোনয়নদানকারী রাজনৈতিক দল থেকে নেওয়া খরচসহ কোনো প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থীর নির্বাচনি খরচ ২৫ লাখ টাকার বেশি হবে না। প্রতিটি নির্বাচনি এলাকায় ভোটার প্রতি নির্বাচিন ব্যয় ১০ টাকা নির্ধারণ করা হলো।