প্যারিস হামলা : বিক্ষোভ পুলিশের স্ত্রীরদের

517

ফ্রান্সের প্যারিসে চ্যাম্পস এলিসি এলাকায় ‘জঙ্গি হামলা’ এবং এক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার প্রতিবাদে রাস্তায় নেমে বিক্ষোভ করেছেন পুলিশের স্ত্রীরা। বন্দুকধারীর গুলিতে পুলিশ কর্মকর্তা জেভিয়ার জুগল নিহত হওয়ার দুইদিনের মাথায় এ বিক্ষোভ মিছিলের আয়োজন করা হয়। গত শনিবার শতাধিক পুলিশের স্ত্রী ও সঙ্গীরা প্যারিসের রাস্তায় বিক্ষোভ মিছিল করেন। ব্রিটিশ সংবাদমাধ্যম বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, ওই হামলার প্রতিবাদে গত শনিবার বিক্ষোভ করেন পুলিশদের ক্ষুব্ধ স্ত্রীরা। তারা মিছিল নিয়ে প্যারিসের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ করে। এদের কারো কারও কারও হাতে বহনকরা প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল ‘আমার পুলিশকে স্পর্শ করবে না’। আরেকটিতে লেখা ছিল ‘যথেষ্ট সংখ্যক পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা ও পুড়িয়ে ফেলা হয়েছে’। গত অক্টোবরে প্যারিসের দরিদ্র বাসিন্দাদের এলাকায় সন্দেহভাজন মাদক বিক্রেতারা চার পুলিশকে বহনকারী একটি গাড়িতে পেট্রলবোমা হামলা চালিয়েছিল। ওই প্ল্যাকার্ডটিতে সেই প্রসঙ্গই টেনে আনা হয়েছে বলে উল্লেখ করেছে বিবিসি।বৃহস্পতিবারে ওই হামলার কিছুক্ষণ পরই প্যারিস প্রসিকিউটর ফ্রাঁসোয়া মলিনস জানান, হামলাকারীর পরিচয় তাদের জানা আছে এবং তা যাচাই করা হয়েছে। তদন্ত ও অভিযানের স্বার্থে সেসময় সন্দেহভাজনের নাম প্রকাশ করতে অস্বীকৃতি জানান তিনি। আর এর বেশ কয়েক ঘণ্টা পর গত শুক্রবার মলিনস জানান, হামলাকারীর নাম করিম শরফি। কালাশনিকভ রাইফেল ব্যবহার করে ওই পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যা করেছে সে। মাথায় দুটি বুলেটবিদ্ধ হয়ে ওই কর্মকর্তা নিহত হন। মধ্যপ্রাচ্যভিত্তিক জঙ্গি সংগঠন আইএসকে সমর্থন করে লেখা একটি নোট হামলাকারীর মৃতদেহের পাশ থেকে উদ্ধার করা হয়েছে। তবে মরিনস বলছেন, হামলাকারীর সঙ্গে ইসলামি উগ্রপন্থার সংযোগ থাকার আপাত প্রমাণ পাওয়া যায়নি। প্রসিকিউটর জানান, শরফির বিরুদ্ধে আগেও চারটি অভিযোগ দায়ের করা হয়েছিল। পুলিশ কর্মকর্তাকে হত্যার ইচ্ছে প্রকাশ করার পর গত ফেব্রুয়ারিতে শরফির বাড়িতে তল্লাশিও চালানো হয়েছিল।
উল্লেখ্য, প্যারিসের সময় রাত নয়টার দিকে মধ্যাঞ্চলে পুলিশ বাসের পাশে একটি গাড়ি থেকে নেমে নির্বিচারে গুলি চালায় ওই হামলাকারী। সে সময় এক পুলিশ কর্মকর্তা নিহত এবং দুই পুলিশ সদস্য আহত হন। পরে নিরাপত্তা বাহিনীর গুলিতে ওই হামলাকারী নিহত হয়।