পারফেক্ট ফিনিশার হতে চান শামীম

97

যুব বিশ্বকাপজয়ী ক্রিকেটার শামীম হোসেন পাটোয়ারি প্রথমবার জাতীয় দলে ডাক পেয়েছেন। আসন্ন জিম্বাবুয়ে সফরে টি-টোয়েন্টি স্কোয়াডে সুযোগ দেওয়া হয়েছে স্পিন অলরাউন্ডারকে। দল ঘোষণার আগেই তাকে জানানো হয়েছিল, জিম্বাবুয়ের বিমানে উঠবেন তিনি। আনুষ্ঠানিক ঘোষণার অপেক্ষায় ছিলেন। নিজের নাম স্কোয়াডে দেখে আপ্লুত এ ক্রিকেটার।

মিরপুরে বুধবার সন্ধ্যায় আবাহনীর বিপক্ষে মাঠে নামার আগে জাতীয় দলে ডাক পাওয়ার খবরে উচ্ছ্বসিত প্রাইম দোলেশ্বরের এই ক্রিকেটার। রাইজিংবিডিকে তিনি বলেছেন, ‘দল ঘোষণার আগেই জানতে পেরেছিলাম আমাকে নেওয়া হবে। এমন খবর সত্যিই আমার ও আমার পরিবারের জন্য দারুণ খবর। আসলে সুযোগটাই তো বড় নয়, কাজে লাগানোটাই বড়। নির্বাচকরা আমার ওপর আস্থা রেখেছেন, আমাকে অবশ্যই সেই আস্থার প্রতিদান দিতে হবে।’

পরিবারে আনন্দের বন্যা বইছে জানাতে ভুল করলেন না শামীম। সঙ্গে কৃতজ্ঞতাও জ্ঞাপন করলেন, ‘বাবা-মা সবাই খুশি। চাচারা খুশি। আমার কোচ খুশি। সবাইকে ধন্যবাদ, যাদের পরিশ্রমে আমি এতটুকু আসতে পেরেছি।’

ঘরোয়া ক্রিকেটের চাপ সামলে শামীম নিজেকে মেলে ধরেছেন। আস্থা অর্জন করেছেন। ব্যাটিং, বোলিংয়ে দাপট দেখানোর পাশাপাশি তুখোড় ফিল্ডার হিসেবে নজর কেড়েছেন। আন্তর্জাতিক অঙ্গনেও চাপ সামলে দিব্যি পারফর্ম করতে চান তিনি।

ব্যাটিংয়ে আগ্রাসন তার মূল চালিকাশক্তি। ব্যাটিং স্পিড অবিশ্বাস্য। শট নির্বাচনও প্রায় নিখুঁত। শরীরে প্রচন্ড জোর। প্রতি আক্রমণে প্রতিপক্ষের বোলিং এলোমেলো করে দেওয়ার অসম্ভব দক্ষতা তার। সব মিলিয়ে ফিনিশার হিসেবে পারফেক্ট প্যাকেজ ছোটখাটো গড়নের শামীম।

নিজেও বিশ্বাস করেন দলের ইনিংসের শেষটা রাঙানো তার মূল কাজ। ঘরোয়া ক্রিকেটে নিজেকে সেভাবেই প্রস্তুত করেছেন। জাতীয় দলে একই ভূমিকায় নিজেকে দেখতে চান শামীম, ‘ব্যাটিংয়ে আমার পজিশন ছয় নম্বরে। আমি চাই, ফিনিশ করতে। যেভাবেই হোক দলকে এগিয়ে নিতে চাই। এটাই আমার লক্ষ্য থাকে।’

ব্যাটিংয়ের পাশাপাশি বোলিংয়েও দক্ষ শামীম। তার স্পিন যথেষ্ট কার্যকরী। ব্রেক থ্রু দেওয়ার প্রবণতা আছে। ফিল্ডিং দেশের সেরা। মাঠে তার দৃঢ় মানসিকতা ও দৃষ্টিভঙ্গি গোটা দলের পরিবেশ পাল্টে দিতে যথেষ্ট। এমন একজনকে দীর্ঘদিন ধরেই খুঁজছে বাংলাদেশ। শামীম দিচ্ছেন স্বস্তির পরশ। এবার বড়দের মঞ্চে নিজের জায়গা থিতু করতে পারেন কি না সেটাই দেখার।