পানিতে ডুবে মৃত্যু : মহামারি মোকাবিলায় সচেতনতা বৃদ্ধিতে জাতীয় প্রচার শুরু

63

দেশে প্রতি বছরই পানিতে ডুবে মৃত্যুর ঘটনা ঘটছে। এতে শিশু মৃত্যুর হারই বেশি। আর পানিতে ডুবে মৃত্যুর মতো মহামারি মোকাবিলায় দেশে সচেতনতা বৃদ্ধিতে গঠিত হয়েছে ‘ন্যাশনাল অ্যালায়েন্স ফর ড্রাউনিং প্রিভেনশন (এনএডিপি)’। এশিয়ান ফাউন্ডেশনের সহযোগিতায় এ-সংক্রান্ত গৃহীত কর্মসূচি বাস্তবায়ন করবে এনএডিপি।
মঙ্গলবার জাতীয় প্রচারের সূচনা করা হয়েছে। সকাল ১০টায় ঢাকার আগারগাঁওয়ে মুক্তিযুদ্ধ জাদুঘর মিলনায়তনে এ উপলক্ষে এক অনুষ্ঠানের আয়োজন করে এনএডিপি। এতে সভাপতিত্ব করেন এনএডিপির সেক্রেটারি জেনারেল ড. আবদুল জলিল চৌধুরী।
সূচনা অনুষ্ঠানে ৬৪ জেলার ৬৪টি এনজিও প্রধান এবং ৬৪ জন গণমাধ্যমকর্মী অংশ নেন।
শুরুতে ভিডিও প্রেজেন্টেশনের মাধ্যমে পানিতে ডুবে মৃত্যুর বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত তুলে ধরা হয়। দেশে প্রতি বছর পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩০ জন শিশু পানিতে ডুবে মারা যায়, এ তথ্য জানানো হয়। এছাড়া শিশুদের পানিতে ডুবা প্রতিরোধে করণীয় নিয়ে আলোচনা করা হয়।
স্বাগত বক্তব্যে এনএডিপির কনভেনার সদরুল হাসান মজুমদার জানান, ন্যাশনাল অ্যালায়েন্সের লক্ষ্যই হচ্ছে দেশে পানিতে ডুবে শিশু মৃত্যুর হার কমানো। এজন্য প্রয়োজন সচেতনতা সৃষ্টি। এর অংশ হিসেবে শিশুদের, বিশেষ করে ৬ বছর বয়সী শিশুদের সাঁতার শেখানোর পাশাপাশি তৃণমূল পর্যায়ে ডে কেয়ার সেন্টার চালু করা যেতে পারে। তিনি বলেন, দ্বিতীয় অধিবেশনে ৬৪টি এনজিও প্রধানের সঙ্গে আলোচনা করে এনএডিপির কর্মপরিকল্পনা নির্ধারণ করা হবে।
অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য দেন- এনএডিপির উপদেষ্টা অবসরপ্রাপ্ত মেজর জেনারেল আবুল কালাম মো. হুমায়ুন কবির ও সেলিনা আহমেদ এনামুল।
অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন- এশিয়া ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি রিপ্রেজেন্টেটিভ কাজী ফয়সাল বিন সিরাজ, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বাংলাদেশ রিপ্রেজেন্টেটিভ ড. ইশাকুল কবির, মালালা ফাউন্ডেশনের কান্ট্রি কো-অর্ডিনেটর মুশারফ তানসেন, বাংলাদেশ শিশু হাসপাতাল ও ইনস্টিটিউটের পেডিয়াট্রিক নিউরোসায়েন্স বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ডা. শায়লা ইমাম কান্তাসহ অন্যরা। এছাড়া এনজিও প্রধানদের মধ্যে তিনজন অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন।
অনুষ্ঠানে উন্নয়ন সংস্থা প্রয়াস মানবিক উন্নয়ন সোসাইটির নির্বাহী পরিচালক হাসিব হোসেন ও চাঁপাইনবাবগঞ্জের দৈনিক গৌড় বাংলার বার্তা সম্পাদক সাজিদ তৌহিদ অংশ নেন।