পাক-ভারত পরমাণু যুদ্ধের আশঙ্কা নেই

218

যুক্তরাষ্ট্রের পর্যবেক্ষক সংস্থা আটলান্টিক কাউন্সিল সম্প্রতি এক প্রতিবেদনে জানিয়েছিল যে, দক্ষিণ এশিয়ার পরমাণু শক্তিধর দুটি রাষ্ট্র যেকোনো সময় যুদ্ধে জড়িয়ে পড়তে পারে। ফলে যুক্তরাষ্ট্রকে পরমাণু অস্ত্র ব্যবহারের বিশেষ অনুমোদনের প্রক্রিয়া সম্পন্ন করে রাখার পরামর্শ দেয় পর্যবেক্ষক সংস্থাটি। কিন্তু দেশটিরই দক্ষিণ এশিয়া বিশেষজ্ঞরা বলছেন, ওয়াশিংটন শুধু শুধুই দুশ্চিন্তা করছে। আদতে দক্ষিণ এশিয়ার দেশ দু’টি মুখোমুখি অবস্থানে থাকলেও পরমাণু যুদ্ধে কখনও জড়াবে না। পর্যবেক্ষক সংস্থা আটলান্টিক কাউন্সিল ভারতের নয়া দিল্লি, পাকিস্তানের ইসলামাবাদ, চীনের বেইজিং’সহ দক্ষিণ এশিয়ার ভূ-রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের সঙ্গে একাধিক বৈঠক করে। সেখানে বিশেষজ্ঞেরা জানিয়েছিলেন, চীন, ভারত এবং পাকিস্তানের দ্বন্দ¦ যেভাবে জটিল আকার ধারণ করেছে তাতে যুক্তরাষ্ট্রকে আগাম প্রস্তুতি নেয়া উচিত। তাদের বক্তব্য ছিল, অর্থনৈতিক এবং পরমাণু শক্তিধর দেশগুলো যুদ্ধে জড়িয়ে পড়লে তার প্রভাব গোটা বিশ্বেই পড়বে। ফলে যুদ্ধ পরিস্থিতি থেকে ফিরিয়ে আনতে এবং পরমাণু শক্তি প্রদর্শন বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রকে উদ্যোগ নিতে আগাম প্রস্তুতি নেয়া উচিত। যদিও দক্ষিণ এশিয়া ভূ-রাজনীতি নিয়ে কাজ করা বিশ্লেষকেরা বলছেন, ওই অঞ্চলে তেমন পরিস্থিতি সৃষ্টির সম্ভাবনা নেই। মাঝে পাকিস্তান পরমাণু হামলার হুমকি দিলেও বাস্তব পরিস্থিতি বিবেচনায় নিজেদের ভুল বুঝতে পারে। এছাড়া, নিজেদের দ্বন্দ¦ যে ওই অঞ্চলে দীর্ঘমেয়াদী সংকটের জন্ম দেব এবং সেজন্য তাদেরই বেশি ভুগতে হবে তা এশিয়ার শক্তিধর দেশ তিনটি ঠিকই জানে। যদিও বিশ্লেষকেরা বলছেন, ¯œায়ু যুদ্ধের সময় থেকেই প্রায় ৩ দশক চীন ও ভারত আক্রমণাত্মক অবস্থানে ছিল। যার ফলশ্রুতিতে তারাও পরমাণু কর্মসূচির পথ অবলম্বন করে। তবে সেই সম্পর্ক সাপে-নেউলে পর্যায়ে গেলেও কেউ কাউকে কামড় বসাবে না বলেই মনে করেন বিশ্লেষকেরা।