পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫

পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে নিহতের সংখ্যা বেড়ে ১৫ জন হয়েছে। তাছাড়া আহতের সংখ্যা বেড়ে ৪৩ জনে পৌঁছেছে। ভারতীয় সেনাবাহিনীর বরাতে বুধবার (৭ মে) বিবিসির লাইভে এসব তথ্য জানিয়েছে।

এর আগে বিবিসি জানিয়েছিল, পাকিস্তানের পাল্টা হামলায় ভারতে অন্তত ১০ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন ৩২ জন। দিল্লির বিমান হামলার জবাবে নিয়ন্ত্রণ রেখা বরাবর পাকিস্তান যখন ভারী গোলাবর্ষণ শুরু করে তখন এই ঘটনা ঘটে। ভারতের সেনাবাহিনী আরও জানিয়েছে, ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পুঞ্চ ও তাংধরের বেসামরিক এলাকায় গোলাবর্ষণ করেছে পাকিস্তান। গত ২২ এপ্রিল ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের পহেলগামে পর্যটকদের ওপর বন্দুকধারীদের হামলায় ২৬ জনের প্রাণহানি হয়। এর পর থেকে পারমাণবিক ক্ষমতাধর দুই দেশের মধ্যে উত্তেজনা বাড়তে থাকে। প্রতিদিনই ‍দুই পক্ষের মধ্যে সীমান্তে গোলাগুলি হচ্ছে। চলমান এই উত্তেজনার মধ্যেই মঙ্গলবার (৬ মে) দিনগত রাতে পাকিস্তানে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা চালায় ভারত।

হামলার পর নিহতের সংখ্যা নিয়ে প্রতিবেশী দুই দেশের পক্ষে দুই ধরনের দাবি উঠেছে। ভারত বলছে, ৭০ সন্ত্রাসীকে হত্যা করা হয়েছে। তবে পাকিস্তানের ভাষ্য, হামলায় অন্তত ২৬ জন বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এদিকে, ভারতের ক্ষেপণাস্ত্র ও বিমান হামলার পর পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ দেশটির সেনাবাহিনীকে ‘আত্মরক্ষার অংশ’ হিসেবে ‘প্রত্যুত্তরমূলক ব্যবস্থা’ নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন। বুধবার (৭ মে) ভোরে ভারতের চালানো একাধিক প্রাণঘাতী হামলার কয়েক ঘণ্টা পর এ সিদ্ধান্ত জানানো হয়।

পাকিস্তানের জাতীয় নিরাপত্তা কমিটির (এনএসসি) জরুরি বৈঠকের পর শাহবাজ শরিফ পাকিস্তানের সশস্ত্র বাহিনীকে নির্দেশ দেন, যাতে ‘নিরপরাধ পাকিস্তানি নাগরিকদের মৃত্যুর প্রতিশোধ’ নেওয়া হয়।