পাঁচ কার্যদিবসেই সূচক ও লেনদেন বেড়েছে

56

বিনিয়োগকারীরা শেয়ার বাজারে আসতে শুরু করেছে। এ কারণেই প্রতিদিন লেনদেন বাড়ছে। বিদায়ি সপ্তাহে বাজার মূলধনে যোগ হয়েছে ১৬ হাজার কোটি টাকা। ‘ফ্লোরপাইস’ প্রত্যাহার নিয়ে বিনিয়োগকারীদের মাঝে যে আতঙ্ক ছিল তা কেটে যাচ্ছে। দাঁড়াতে করেছে ঘুরে শুরু দেশের শেয়ার বাজার। বিদায়ি সপ্তাহে পাঁচ কার্যদিবসেই সূচক ও লেনদেন বেড়েছে। সাপ্তাহিক বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, ডিএসইর প্রধান মূল্যসূচক ডিএসইএক্স ১৫৯ দশমিক ৩৬ পয়েন্ট বা ২ দশমিক ৫৬ শতাংশ বেড়ে ৬ হাজার ৩৭৩ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। এছাড়া, বাছাই করা ভালো কোম্পানি নিয়ে গঠিত ডিএস-৩০ সূচক সপ্তাহের ব্যবধানে ২১ দশমিক ৪৫ পয়েন্ট বা ১ দশমিক শূন্য ১ শতাংশ বেড়ে ২ হাজার ১৩৮ পয়েন্টে ও শরিয়াহ সূচক ডিএসইএস ২৪ দশমিক ৩৯ পয়েন্ট বা ১ দশমিক ৭৯ শতাংশ বেড়ে ১ হাজার ৩৮৭ পয়েন্টে অবস্থান করছে। গত সপ্তাহের এই বাজারে পাঁচ কার্যদিবসে ৮ হাজার ৪৭৫ কোটি ২০ লাখ টাকার শেয়ার ও ইউনিট লেনদেন হয়েছে। তার আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৪ হাজার ৫৮৪ কোটি ৭৪ লাখ টাকা। গত সপ্তাহে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে ১ হাজার ৬৯৫ কোটি ৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যেখানে আগের সপ্তাহে দৈনিক গড় লেনদেন ছিল ৯১৬ কোটি ৯৫ লাখ টাকা। সে হিসেবে ডিএসইতে দৈনিক গড়ে লেনদেন বেড়েছে ৮৪ দশমিক ৮৬ শতাংশ। বিদায়ি সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে ৭ লাখ ৭২ হাজার ৫২৬ কোটি টাকা। এর আগের সপ্তাহে বাজার মূলধন ছিল ৭ লাখ ৫৬ হাজার ১০৭ কোটি টাকা। দেশের প্রধান এই শেয়ারবাজারে গত সপ্তাহে লেনদেনকৃত মোট ৪০৭টি কোম্পানি, মিউচুয়াল ফান্ড ও করপোরেট বন্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ৩৪০টির, কমেছে ৩৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৮টির দর। লেনদেন হয়নি ১৩টির। খাতভিত্তিক লেনদেন পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে ডিএসইতে লেনদেনের শীর্ষে ছিল প্রকৌশল খাত। খাতটি মোট লেনদেনের ১৬ দশমিক ৪ শতাংশ দখলে নিয়েছে। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ১৪ দশমিক ৩ শতাংশ দখলে নিয়েছে ওষুধ ও রসায়ন খাত। ১০ দশমিক ৯ শতাংশ লেনদেনের ভিত্তিতে তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে বস্ত্র খাত। অন্য বাজার চট্টগ্রাম স্টক এক্সচেঞ্জে (সিএসই) গত সপ্তাহে সার্বিক সূচক সিএএসপিআই ৩ দশমিক ৮০ শতাংশ বেড়ে ১৮ হাজার ২৯৬ পয়েন্টে দাঁড়িয়েছে। লেনদেন হয়েছে ১২৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয়েছিল ৭৮ কোটি ২৯ লাখ টাকা। বিদায়ি সপ্তাহে সিএসইতে লেনদেনকৃত মোট ৩৫৯টি কোম্পানি ও মিউচুয়াল ফান্ডের মধ্যে দর বেড়েছে ২৮৬টির, কমেছে ৫৮টির। আর অপরিবর্তিত রয়েছে ১৫টির দর।