রেডিও মহানন্দা ৯৮.৮ এফএম

পর্যাপ্ত ঘুম হৃদযন্ত্র তরুণ রাখতে

দৈনিক সাত ঘণ্টা ঘুমানোর অভ্যাস করলে হৃৎপি- সুস্থ সবল থাকবে, কমবে হৃদরোগের ঝুঁকি। যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটি’র করা গবেষণায় এমন ফলাফলই পাওয়া গেছে। গবেষণায় দেখা যায়, প্রকৃত বয়সের তুলনায় হৃদযন্ত্রের ক্ষয় তাদেরই সবচাইতে কম যারা রাতে টানা সাত ঘণ্টা ঘুমান নিয়মিত।  সাত ঘণ্টার কম কিংবা বেশি ঘুমানো হৃদযন্ত্রের বয়সজনীত ক্ষয় বাড়ায় বা হৃদযন্ত্রের বয়স বাড়ায়। এদের মধ্যে যারা কম ঘুমান তাদের হৃদযন্ত্রের উপর বয়সের প্রভাব সবচাইতে বেশি।
ঘুমের সময় আর দ্রুত হৃদস্পন্দন– একসঙ্গে মিলিয়ে তুলনা করলে হৃদরোগের ঝুঁকির সঙ্গে ঘুমের সময়ের সম্পর্ক পাওয়া যাবে।
যুক্তরাষ্ট্রের জর্জিয়ার এমোরি ইউনিভার্সিটির জুলিয়া ডারমার বলেন, “এই গবেষণার গুরুত্বপূর্ণ কারণ হৃদরোগের ঝুঁকি পরিমাপ করতে ঘুমের পরিমাণ একটি মাপকাঠি হিসেবে কাজ করছে। ‘স্লিপ’ জার্নালে প্রকাশিত গবেষণাটির জন্য ৩০ থেকে ৭৪ বছর বয়সি ১২ হাজার ৭শ’ ৭৫ জনকে পর্যবেক্ষণ করা হয়। অংশগ্রহণকারীরা তাদের ঘুমের সময় জানান গবেষকদের, যাকে পাঁচটি শ্রেণিতে ভাগ করা হয়। পাঁচ বা তার কম, ছয় ঘণ্টা, সাত ঘণ্টা, আট ঘণ্টা এবং নয় ঘণ্টা বা তারও বেশি।
লিঙ্গভিত্তিক ‘ফ্রামিংহাম হার্ট এইজ অ্যালগারিদম’ ব্যবহার করে গবেষকরা প্রত্যেক অংশগ্রহণকারীর হৃদযন্ত্রের বয়স বের করেন। পাশাপাশি বিভিন্ন ধরনের পরীক্ষা করে ঘুমের পরিমাণ ও হৃদরোগের মধ্যে সম্পর্ক খুঁজে বের করার চেষ্টা করেন। গড় ফলাফল, প্রতি ২৪ ঘণ্টায় যারা সাত ঘণ্টা ঘুমান তাদের হৃদযন্ত্রের বয়স সবচাইতে কম। ডারমার বলেন, “আশা করি আমাদের গবেষণাটি হৃদরোগীদের চিকিৎসায় উপকারী ভূমিকা রাখবে।” যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশনের মতে, “যারা পর্যাপ্ত পরিমানে ঘুমান না তাদের হৃদরোগ হওয়ার আশঙ্কা বেশি। এরসঙ্গে তাদের বয়স, ওজন কিংবা ধুমপানের অভ্যাস আছে কি না তার কোনও সম্পর্ক নেই। ঘুমা কম হলে বিপাক ক্রিয়া, রক্তচাপ, প্রদাহ ইত্যাদি শারীরিক প্রক্রিয়া নিয়মচ্যুত হয়ে যায়, ফলে এরসঙ্গে সম্পর্কিত রোগবালাইও বাড়ে। আবার অতিরিক্ত ঘুমালেও একই ঘটনা ঘটার সম্ভাবনা রয়েছে।
ছবি: রয়টার্স।