পরিচিত চেহারা থেকে বেরিয়ে আসছেন অপূর্ব

151

অপূর্ব ছোট পর্দার অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা। ‘গ্যাংস্টার রিটার্নস’ দিয়ে অ্যাকশন হিরোর তকমা গায়ে চড়িয়েছেন। তবে প্রেমিক অপূর্বকে দেখতে স্বাচ্ছন্দবোধ করেন মেয়ে ভক্তরা। বড় ছেলে দিয়ে ত্যাগী প্রেমিক হিসেবে সোশ্যাল মিডিয়ায় ঝড় তোলেন তিনি। কিন্তু এবার সেসব পরিচিত চেহারা থেকে বেরিয়ে আসছেন অপূর্ব। বুধবার ঢাকার অদূরে কাওলা আমবাগান এলাকার রাস্তায় একজন সাদামাটা অপূর্বকেই দেখা গেল। ফুটপাতে বসে আছেন গভীর চিন্তায় মগ্ন। চিন্তাতেও যেন সাদামাটা এই অভিনেতা, মুখের এক্সপ্রেশনেও এনেছেন ভিন্ন নান্দনিকতা। দেখা গেল একজন ক্লিনারের সাথে কথা বলছেন। নির্মাতা বান্না জানালেন নাটকের নাম মানিবাগটা টাকার। একটি কুড়িয়ে পাওয়া মানিবাগ ও তার ভেতরের টাকা মেরে দেওয়া অপূর্ব অনুতাপে ভুগতে থাকেন।
বান্নাহ বলেন, এখানেই আসছে ভিন্নতা। মানুষ ভিন্নতা ভিন্নতা নিয়ে কথা বলেন, স্ক্রিনে দেখে জাজ করবেন আসলে ভিন্নতা কি। এখানে অপূর্ব ভাইকে আমি পরিচিত চেহারা থেকে বের করে নিয়ে আসছি। অপূর্ব ভাই নিজেও সেটা ফিল করছেন। প্রপস,কস্টিউম সবকিছুতেই ন্যাচারাল বিষয় থাকছে। মানুষের প্রশ্নের তীরে বিদ্ধ হতে চাই না, ভক্তদের পরিচয় করিয়ে দিতে চাই প্রেমিক অপূর্বের বাইরের একজন অভিনেতাকে। নাটকের গল্প লিখেছেন, কুদরৎ উল্লাহ।
অপূর্ব বলেন, সম্প্রতি বিভিন্ন স্বাদের কাজ করছি। আর প্রতিটি কাজ করতে হচ্ছে গল্পের ভেতরে গিয়ে। গল্প আগেই শুনে নিয়ে সে চরিত্রের ভেতরে ঢুকে যেতে হচ্ছে। যেখানে আমি অপূর্বকে ভেঙে ফেলতে হচ্ছে। ফাইনালি যেটা হচ্ছে একটা স্যাটিসফ্যাকশন কাজ করছে। মনে হচ্ছে ভালো কাজ করলাম। সম্প্রতি আরেকটি নাটকের শুটিং সম্পন্ন করেছেন বান্না। ‘লোকটি সৎ ছিল’ নাটকে অপূর্বকে দেখা গেছে একজন সৎ লোক হিসেবে। এই গল্পটা ‘মধ্যবিত্তের না’ বলে উল্লেখ করলেন নির্মাতা বান্নাহ। তিনি বলতে চাইলেন এটা ‘সৎ’ মানুষের গল্প। তার মতে, এত বছর ধরে যেসব নাটক নির্মাণ করে আসছি এসবই মধ্যবিত্তের নাটক। টেলিভিশন রিপ্রেজেন্টই করে মধ্যবিত্ত শ্রেণিকে। এই মধ্যবিত্তকে নাটকের মাধ্যমে জয় করেছিলেন প্রয়াত হুমায়ূন আহমেদ স্যার।
তিনি এই কালচারটা শুরু করেছিলেন। তার এইসব দিনরাত্রি, আজ রবিবার, বহুব্রীহি ইত্যাদি কাজগুলো ছিল মাইলফলক। এরপর সিক্সটি নাইন, হাউজফুল, এফএনএফ, বন্ধন ইত্যাদি কাজগুলো মধ্যবিত্তের বড় উদাহরণ। তাই আমি মনে করি আমার এবারের গল্পটা হচ্ছে সৎ এবং অসতের দ্বন্দ্ব নিয়ে। এখানে ফ্যামিলি রিলেশন রয়েছে। এ ছাড়া এই সময়ে একটা মানুষের সৎ থাকাটা কতটা কষ্টের বিষয় সেটাই এই গল্পে দেখানো হয়েছে। গল্প লিখেছেন মাহতাব হোসেন।